বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাজেট, শুভেন্দুর ল্যাজে পটকা ফাটানোর বাজেট: কুণাল ঘোষ

0
5

লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক। এককথায় কল্পতরু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজের সকল শ্রেণির, সকল পেশার মানুষের জন্য এই জনমোহিনী বাজেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। এদিনের বাজেট নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এই বাজেট বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট।

কারণ ব্যাখ্যা করেন কুণাল বলেন, “একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, ন্যায্য পাওনা আটকে রাখা। অন্যদিকে, বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিকাঠামো, পরিষেবা ও সংস্কার, এই তিনটি দিকেই উন্নয়নের গতি বজায় রেখে বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাজেট। কেন্দ্রের আর্থিক বৈষম্য, প্রতিহিংসাকে দূরে রেখে পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে। গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের ঘোষণার পাশাপাশি পরিষেবায় আরও জোর। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ানো থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বেতন বৃদ্ধি, গ্রুপ ডি, মৎসজীবী, তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষ সুবিধা উজাড় করে দেওয়ার এই বাজেট কার্যত জনমুখী সংস্কার। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পরেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

এদিন রাজ্য বাজেট নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোটের বাজেট বলে দাবি করতেই তাঁকে মোক্ষম জবাব দেন কুণাল। তাঁর কথায়, “লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার আতঙ্ক থেকে এই বাজেটের বিরোধিতা করছে বিজেপি ও শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বছর মানুষের কাজ করেন, ভোটের কথা ভেবে নয়। এই বাজেট নিয়ে বিজেপির আপত্তির কারণ ওরা ভয় পেয়েছে। মহিলা শক্তি, সম্মান, ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির বাজেট নিয়েও আপত্তি বিজেপির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ই তো লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছিলেন। তিনি-ই টাকা বাড়ালেন, কথা দিয়ে কথা রাখার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষ্মীর ভান্ডারকেই তো বিজেপি অন্য রাজ্যে নকল করেছে। মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক, শ্রমিক, মৎসজীবী সকলেই এই বাজেটে উপকৃত, সেই কারণেই কুৎসা করছে শুভেন্দু ও বিজেপি। এই বাজেটের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও ভালবাসবেন মানুষ। তৃণমূলের আরও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মানুষের মন তৃণমূলের দিকে, সেটা দেখে ভয় পেয়ে দিশাহীন হয়ে গিয়েছে বিজেপি। গরিব মানুষ টাকা পাচ্ছে আর তাতেই জ্বলছে শুভেন্দুরা। বাংলা বলছে মমতাই থাকছেন, বাংলা তৃণমূল থাকবে আর বিজেপি সহ বিরোধীরা বঙ্গোপসাগরে যাবে। এটা আসলে শুভেন্দু ল্যাজে পটকা ফাটানোর বাজেট।”