১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধলে স্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। তার পাল্টা এবার কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করল কংগ্রেস। ১০ বছরের মোদি জমানায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কৃষক সমস্যা, মণিপুরের মতো বিষয়গুলিকে তুলে ধরা হয়েছে এই পত্রে। কংগ্রেসের তরফে এই পত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০ সাল অন্যায়কাল’। বৃহস্পতিবার এই কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “অর্থনীতিকে ব্যর্থ করেছে এই সরকার। ১০ বছর ধরে হেনস্থা করে, চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় করা হয়েছে, সেই টাকা নির্বাচনে ঢালা হয়েছে।”
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে এদিন বলেন, “বিগত ১০ বছরে ৪১১ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়েছে বিজেপি। তাদের কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা বললাম না। আমাদের কত জায়গায় সরকার ছিল, কর্নাটক, মণিপুর, গোয়া, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান…কংগ্রেসের কত সরকারকে ফেলে দিয়েছে ওরা। এভাবেই ওরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।” একইসঙ্গে যোগ করেন, “আমরা সরকারের বিরুদ্ধে এই কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করছি কারণ যখনই ওরা সংসদে কথা বলেন, ওরা শুধুমাত্র নিজেদের সাফল্য নিয়ে কথা বলে। কখনও ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলে না। এমনকী, আমাদেরও বলতে দেওয়া হয় না। এভাবেই অর্থনীতিকে ব্যর্থ করেছে এই সরকার।”
বুধবার রাজ্যসভায় মোদির ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে খাড়গে আরও বলেন, “আমাদের দেশে বেকারত্ব সবথেকে বড় সমস্যা। কিন্তু ওরা কখনও এই বিষয় নিয়ে কথা বলে না। ১০ বছরের হিসাব, পরিসংখ্যান তুলে ধরার কথা বলেন, কিন্তু কংগ্রেসের জমানায় কত কর্মসংস্থান হয়েছিল, বিজেপির শাসনে কত ভাল চাকরি হয়েছে, তা তুলে ধরেন না কেন আপনারা?” শুধু তাই নয় খাড়গে আরও যোগ করেন, “জওহরলাল নেহরুর তৈরি পাবলিক সেক্টরগুলি, যেখান থেকে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন না। আপনারা ইন্দিরজি, রাজীবজি ও নেহরুজিকে আক্রমণ করেন, অপমান করেন। মনরেগা নিয়ে আপনারা কথা বলছেন না কেন? রাজ্যগুলির বরাদ্দ আটকে রেখেছি, যার ফলে গ্রামাঞ্চলে চরম সমস্যা হচ্ছে। কর্নাটক, তেলঙ্গানার মতো রাজ্য বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে তহবিল ছাড়া হচ্ছে না।”