পার্ক থেকে উদ্ধার গবেষক ছাত্রের দেহ। বিদেশে পড়তে গিয়ে ফের মর্মান্তিক পরিণতি ভারতীয় পড়ুয়ার (Indian researcher’s death in America)। চলতি বছরে এই নিয়ে ৫ পড়ুয়ার মৃত্যু হল মার্কিন মুলুকে। সোমবার সন্ধ্যায় একটি পার্ক থেকে সমীর কামাথের (Sameer Kamath) দেহ উদ্ধার হয়। তিনি ইন্ডিয়ানার পারডু ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করছিলেন। ২৩ বছর বয়সি সমীর ম্যাসাচুসেটস অ্যামহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয় (University of Massachusetts Amherst)থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর, ২০২১ সালে তিনি পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Purdue University) যোগ দেন। গত বছর আগস্ট মাসে পারডু ইউনিভার্সিটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এরপর গবেষণায় মন দেন, আগামী বছর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তিনি আমেরিকার নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন। এসবের মাঝেই তাঁর রহস্য মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে ধোঁয়াশা। পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ ‘ক্রোস গ্রোভ’ নামে এক পার্ক থেকে সমীর কামাথকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সব মিলিয়ে পাঁচ জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হল আমেরিকায়। দিন কয়েক আগেই এই পারডু ইউনিভার্সিটির আর এক ভারতীয় পড়ুয়া নীল আচার্যের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি চত্বর থেকেই ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। নীলকে শেষ বার দেখেছিলেন একজন অ্যাপ ক্যাবের চালক। ওই চালকই তাঁকে ইউনিভার্সিটির কাছে নামিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। গত ১৬ জানুয়ারি জর্জিয়ার লিথোনিয়াতে খুন হন বিবেক সাইনি নামে এক ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর জানুয়ারির ২০ তারিখ ‘ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় আরবানা-শ্যাম্পেন’-এর পড়ুয়া অকুল ধাওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সকাল ১১টা নাগাদ ইউনিভার্সিটির পিছনের একটি বারান্দা থেকে তাঁর দেহ খুঁজে পান তাঁর বন্ধুরা। গত সপ্তাহে আমেরিকার ওহায়োর সিনসনাটিতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় শ্রেয়স রেড্ডি নামে ১৯ বছর বয়সি এক ভারতীয় পড়ুয়ার। যদিও তাঁর খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ।