উচ্চপদস্থ আধিকারিক হওয়ার পরেও কোনও পরিবারের জাতিগত সংরক্ষণের কী প্রয়োজন, প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জাতিগত সংরক্ষণ ব্যবস্থার পরিবর্তনে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানিতে সংরক্ষণের আসল উদ্দেশ্য তুলে ধরতে কীভাবে সংরক্ষণের প্রয়োগ হওয়া উচিত তা নিয়েই সওয়াল করেন পাঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল। সেখানেই IAS, IPS আধিকারিকদের পরিবারের বংশানুক্রমে সুবিধা ভোগের সংরক্ষণ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বি আর গভাই।
সংরক্ষণের সুবিধা বাস্তবিক যাদের প্রয়োজন তাঁদের তুলে দিতে জাতিগত সংরক্ষণের ‘সাব-ক্লাসিফিকেশনে’র আইন আনার প্রক্রিয়া শুরু করে পাঞ্জাবের আপ সরকার। সেই প্রক্রিয়াতেই মামলা হয় সর্বোচ্চ আদালতে। মামলার শুনানি হয় বুধবার প্রধানবিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত পাঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করে উপ-শ্রেণির উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রশ্ন করা হয়, এর ফলে কী কোনও জাতির উপ-শ্রেণি যারা সংরক্ষণের সুবিধা পেয়ে উন্নতি করেছে, তাঁরা সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবে?
পাঞ্জাব অ্যাডভোকেট জেনারেল ইতিবাচক উত্তর দিলে নিজের মন্তব্য পেশ করেন বিচারপতি বি আর গভাই। তিনি বলেন, ‘একজন এসসি বা এসটি ব্যক্তি যখন IAS বা IPS হয়ে যান, তখন তাঁদের সন্তানরা সেই সব অসুবিধার সম্মুখিন হন না যা তাঁরই ক্যাটাগরির একজন মানুষ যিনি গ্রামে রয়েছেন তাঁরা পান না, অথচ নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা সেই সব সুবিধা দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মেও ভোগ করে যান নিয়মের বলে।’
পাঞ্জাব সরকার চায় এই ধরনের উপ-শ্রেণিকে সমাজের সবচেয়ে ওপরের শ্রেণিতে ফেলতে, আদালতে জানান বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল ও পাঞ্জাবের এজি গুরমিন্দর সিং। প্রধান বিচারপতি সর্বোচ্চ শ্রেণিকে ১০০ শতাংশ বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেন। তাতে যারা সংরক্ষণের সুবিধা নিতে চাইবেন তাঁদের জন্য পথ খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।