ক্যাগের সাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির আলোচনার দাবিকে কেন্দ্র করে শাসক বিরোধী দ্বৈরথ তুঙ্গে।মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্টে নিয়ে আলোচনার দাবি জানায় ৷ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি খারিজ করে দেন। এরপরই বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেন বিজেপির পরিষদীয় দল। পাশাপাশি, সিএজি রিপোর্ট নিয়ে তদন্তের দাবিও তোলেন তাঁরা।বিধানসভা কক্ষে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হলে স্পিকার বলেন, রাজ্যসভা লোকসভার মতো আমি কাউকে সাসপেন্ড করব না।
প্রসঙ্গত, গত বছর সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন দুই কক্ষ মিলিয়ে সাসপেনশনের মুখে পড়েন মোট ১৪১ জন বিরোধী সাংসদ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়কদের হইচইয়ের পর সেই প্রসঙ্গই তুলে আনেন স্পিকার।
বিধানসভায় সিএজি রিপোর্ট নিয়ে বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব প্রসঙ্গে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, সিএজি রিপোর্টে যদি কেউ কিছু না করে থাকে, তা হলে কেন ভয় পাচ্ছে সরকার? স্পিকার তো নিরেপক্ষ। ওঁর উচিত ছিল আলোচনার অনুমতি দেওয়া।
প্রসঙ্গত, সিএজি রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২১-এর মার্চ মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অনুদানের ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগ তুলেছে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় অনুদানের প্রায় ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচের শংসাপত্র দিতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, এর মধ্যে ২০০২-০৩ থেকে বাম জমানার হিসাবও রয়েছে। তাঁর কাছে কেন ২০০৩ সালের হিসাব চাওয়া হচ্ছে? সে সময়ে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতাতে আসেনি।






































































































































