বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ক্রমাগত নিন্দা-সমালোচনায় এবার ‘বিলম্বিত বোধোদয়’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguli)। “বন্ধু ক্ষমা করে দিও“- রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) কিশোর দত্তকে (Kishor Dutta) বললেন বিচারপতি। পাল্টা সৌজন্য দেখিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনিও বলেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি যা মন্তব্য করেছিলেন, তাও তাঁর করা উচিত হয়নি।
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলায় কিশোর দত্ত (Kishor Dutta) সম্পর্কে অনেক কটু মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবীদের মাধ্যমে সেই কথা শুনে, পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন এজি-ও। এই ঘটনা নিয়ে আদালতে ও বাইরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোরের কাছে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তাঁর এজলাসে কিশোর দত্তকে ডেকে বিচারপতি বলেন, “কয়েক দিন আগে আমি আপনাকে অনেক কিছু বলেছি। আমি আপনাকে বহু বছর ধরে চিনি। প্রায় ৩৭ বছর হবে আমাদের পরিচয়। আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি খুবই দুঃখিত।“ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “সে দিন রাগের মাথায় আমি অনেক কিছু বলেছি। আপনার উদ্দেশে কিছু বলার মানসিকতা আমার ছিল না। বারের আইনজীবীদের সকলের তা জানা উচিত। আমি আমার বন্ধুর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।“ এরপরেই এজি-র উপকারের কথা স্মরণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “আপনারা জানেন না কিশোর আমার কত উপকার করেছে। এমনও হয়েছে কিশোর এবং আমার আরেক বন্ধু না থাকলে আমি মরেই যেতাম!“
পাল্টা AG বলেন, “আমিও তো ওই দিন অনেক কিছু বলেছিলাম। না বলাই উচিত ছিল।“ শুনে বিচারপতি বলেন, এজি যা শুনেছেন সেই অনুযায়ীই মন্তব্য করেছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “কিশোর, আমি, জয়মাল্য-সহ আরও কয়েকজন এক সঙ্গে ঘুরে বেড়াতাম। আমাদের বন্ধুত্ব বহুদিনের।’’
আরও পড়ুন: ক্যাগের রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় শাসক বিরোধী দ্বৈরথ তুঙ্গে
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এই কথার পরেই, ওয়াকিবহল মহলের মতে, এটা বিলম্বিত বোধোদয়। যে বন্ধু না থাকলে প্রাণ সংশয় হতে পারত, তাকেও ওই ভাষা কীভাবে আক্রমণ করলেন! এখন কি ইমেজ বাঁচাতেই এই ক্ষমা প্রার্থনা? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।