এক দেশ, এক ভোট নিয়ে বিশেষ বৈঠক! আজই দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

0
1

এক দেশ, এক ভোট (One Nation One Election) নিয়ে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind) মাথায় রেখে গঠিত হয়েছে কমিটি। সেই কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে সোমবারই দিল্লি (Delhi) যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার সেই হাইভোল্টেজ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগেভাগেই মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, আজই সন্ধের বিমানে দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন চালু করতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। যদিও ভারতের মতো দেশে একাধিক বিরোধী দল এই ইস্যুতে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে।

মমতা আগেই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জানিয়েছিলেন, আমাদের ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রয়েছে। বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ভাষা, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। এক একটা রাজ্যে, এক একটা আঞ্চলিক সমস্যা আছে। এক একটা সময়ে, এক একটা রাজ্যে নির্বাচন হয়। কেউ স্থায়ী সরকার পায়, কেউ পায় না। নিজের দিল্লি সফরের কথা গত শুক্রবারই ধরনা মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মমতা বলেন, এক দিনের জন্য দিল্লি যেতে হবে, রাজনীতির জন্য নয়, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নিয়ে ওঁরা নাকি একটা কমিটি করেছে, তারা আমাকে মতামত জানাতে ডেকেছে, তাই ৫ তারিখে সন্ধ্যায় যাব, ৬ তারিখে বেলা ২টোয় মিটিং করব, সন্ধেয় ফিরে আসব, কারণ ৮ তারিখ বাজেট আছে। মমতা আরও বলেন, একসঙ্গে নির্বাচন করালে আমার কী? আমাদের তো ভালোই। একবার খাটতে হবে। কিন্তু, সমস্যাটা কী জানেন? যদি কোনও রাজ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তা হলে কী হবে? এক দেশ, এক ভোট মানে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ ইলেকশন। যেটা আমেরিকায় রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের এখানে এক এক সময়ে এক একটা রাজ্যের নির্বাচন হয়। কেউ স্থায়ী সরকার পায়, কেউ পায় না। এখন ভারত সরকারেরই যদি ‘স্টেবিলিটি’ না থাকে, তখন কী হবে? আপনারা দেখবেন, গত ৩ বছরে কী ভাবে ৩টি সরকারকে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রের সরকার! এক দেশ, এক ভোট হলে যে এমনটা হবে না, সে নিশ্চয়তা কে দেবে? দিল্লির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়েই বৈঠকে সওয়াল করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।