শপথগ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে যে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে সেটা আগেভাগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল (Governor)। আর সেই মতোই সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষা হবে আস্থা ভোটের মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও সময় যত গড়াচ্ছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় (Jharkhand Assembly) চাপ বাড়ছে চম্পাই সোরেনের (Champai Soren)। এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা মিললে তবেই চম্পাইয়ের সরকার ঝাড়খণ্ডের স্থায়ী সরকার হবে। এদিকে সোমবার আস্থা ভোটে যোগ দিতে পারেন ধৃত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। জমি জালিয়াতি মামলায় ইডির হাতে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। বর্তমানে রয়েছেন ইডি হেফাজতে। আর যাকে কেন্দ্র করেই এত রাজনৈতিক পালাবদল। এর মাঝেই আস্থা ভোটে যোগ দিতে চেয়ে রাঁচির বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। আদালত তাঁকে অনুমতি দিয়েছে।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ৮১। তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার ৪১। ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। এছাড়া বিজেপির ২৫ জন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তিন জন এনসিপি এবং সিপিআই (এমএল)-এর এক জন করে বিধায়ক রয়েছেন। সিপিআই (এমএল) সমর্থন রয়েছে শাসক জোটের পক্ষে। তিন জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। এমন পরিস্থিতিতে চাম্পই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের দিনেই শুক্রবার রাতে শাসক জোটের ৩৭ জন বিধায়ককে রাঁচি থেকে হায়দরাবাদের বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে রিসর্টে ছিলেন ওই বিধায়কেরা। পরে রবিবার আবার রাঁচিতে ফিরে এসেছেন তাঁরা। সোমবার আস্থা ভোটে অংশ নেবেন তাঁরাও।
তবে সময় গড়ালেও যতক্ষণ না কিছু একটা সমাধান বেরচ্ছে চিন্তা পিছু ছাড়ছে না নতুন মুখ্যমন্ত্রীর। এখনও বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় সাবধানে পা ফেলছেন তিনি। জমি জালিয়াতি মামলায় গত বুধবার প্রায় সাত ঘণ্টা হেমন্তের রাঁচীর বাসভবনে তল্লাশি চালায় ইডি। রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগেই রাজভবনে গিয়ে হেমন্ত ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। তারপর শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন চম্পাই সোরেন।