ছ’ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি, ভালো ব্য়বহারের ‘পুরস্কার’ মনুয়াকে

0
1

দস্যু রত্নাকর হয়েছিলেন মহর্ষি বাল্মিকী। নাইজেল আকারার নবজীবনে প্রবেশ দেখেছে এযুগের কলকাতা। মেনেও নিয়েছে ‘গোত্র’র নায়ক হিসাবে। কিন্তু মনুয়াকে কী মেনে নেবে? কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার অবশ্য মেনে নিয়েছে তাঁর ব্যবহার বেশ ভালো। তাই তো ছয় ঘণ্টার জন্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ছুটিও পেয়েছে স্বামীর খুনের মামলায় অভিযুক্ত বারাসাতের মনুয়া।

প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামী অনুপম সিংহকে খুনের অপরাধে ২০১৯ সালে মনুয়া মজুমদারকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় বারাসাত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। সেই সময় স্বামীকে খুনের মধ্যে মনুয়ার মধ্যে যে অপরাধ মানসিকতার প্রমাণ পেয়েছিল আদালত তাতে আঁৎকে উঠেছিল গোটা বাংলা। মহিলা অপরাধীদের নৃশংসতার উদাহরণ হিসাবে তৈরি হয়ে গিয়েছিল মনুয়ার নাম। সেই থেকে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দি মনুয়া মজুমদার।

তবে প্রায় চার বছরের বন্দি জীবনে যেন দস্যু রত্নাকরের মধ্যে জন্ম নিয়েছে বাল্মিকী। রাজ্যের সংশোধনাগারগুলির আসামীদের নিয়ে সমাজের মূল শ্রোতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রচলন প্রায় এক দশক পুরোনো। বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের অনুষ্ঠানে রীতিমত সপ্রতিভ মনুয়া। বন্দিদের পরিবেশনায় ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যে মনুয়ার নৃত্যের অনুষ্ঠান নজর কাড়ে বর্ধমানবাসীর। বন্দিদের প্রকাশিত সাময়িক সংবাদপত্র একাই প্রকাশনার দ্বায়িত্বে ছিলেন মনুয়া।

সংশোধনাগারের আরক্ষাধ্যক্ষ থেকে নৃত্য প্রশিক্ষক – সবাই এক কথায় মনুয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর সেই ভালো ব্যবহারই কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলিয়ে দিল তার অপরাধ। প্যারোলে ছয়ঘণ্টার জন্য বাড়ি যাওয়ার অনুমতি পেলেন মনুয়া মজুমদার। সোমবার বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বাপের বাড়ির পথে রওনা দেন তিনি। কড়া নিরাপত্তায় প্রথমে বারাসাত থানা ও পরে বাপের বাড়ি পৌঁছান মনুয়া মজুমদার।