বিজেপিতে যোগ দিলেই এজেন্সির হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবেন, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লাগাতার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে অবিজেপি দলগুলির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় পাঁচবার ইডির পক্ষ থেকে শমন পাঠানো হয়েছে। কেজরিওয়ালের পরে আপ সরকারের আরেক মন্ত্রী দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আতিশীর বাড়িতেও গেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ । এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন কেজরি।
রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রোহিণীতে একটি স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দাবি করেন, তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “তারা আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনও ষড়যন্ত্র করতে পারে। আমিও দৃঢ়। আমি নত হব না। তারা আমাকে বিজেপিতে যোগ দিতে বলছে, তারপর তারা আমাকে ছেড়ে দেবে। কিন্তু আমি বলেছি যে আমি কখনই বিজেপিতে যাব না, আমি কোনোদিনও বিজেপিতে যোগদান করব না।” কেজরিওয়ালের দাবি , আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাকে বারবার সমন পাঠাচ্ছে ইডি। তিনি যদি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে তাকে সেই মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে।
এদিন এক্স মাধ্যমে তিনি বলেন, আমরা যদি কিছু ভুল করতাম, তাহলে আমরা অন্যদের মতো বিজেপিতে যোগ দিতাম এবং মামলা বন্ধ করে দিতাম। আমরা যখন কোনো অন্যায় করিনি তাহলে বিজেপিতে যোগ দেব কেন? আমাদের বিরুদ্ধে আরোপিত সব মামলাই মিথ্যা। আজ না হলে কাল সব মামলা শেষ হয়ে যাবে। বাকি দিল্লির কোনও কাজ বন্ধ হতে দেওয়া হবে না। এদিকে ক্রমাগত আম আদমি পার্টির নেতাদের নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, আমি বারবার এতে আপত্তি জানিয়ে আসছি। এটা শুধুমাত্র ইডির কাজ নয়। এই সব নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের দ্বারা করানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে এমন একটি রাজ্যে নেই যেখানে শক্তিশালী বিরোধী দল ইডি, সিবিআই বা আইটি দ্বারা আক্রান্ত হয়নি,যেখানে বিজেপি দুর্বল, সেখানে ইডি শক্তিশালী এবং সেখানে বিজেপির পক্ষে কাজ করতে ব্যবহৃত হয়।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিরোধী শাসিত রাজ্য এবং বিরোধী নেতৃত্বের উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির আক্রমণ তত জোরদার হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, বলে অভিযোগ আরজেডি’র। বাংলাতেও একইভাবে নিজেদের তৎপরতা বজায় রেখেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। বাদ যাচ্ছে না কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টিও।