বাড়ির সামনে পায়ের ছাপ! বাঘ-আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পাথরপ্রতিমার

0
1

যত দিন গড়াচ্ছে বাঘের (Tiger) আতঙ্কে কাঁটা পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) বাসিন্দারা। তবে শুধুমাত্র এক বা দু’মাসের কথা নয়। টানা ৩ মাস ধরেই বাঘবাবাজির ঠেলায় রীতিমতো চোখে ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। তবে প্রতিদিনই বিভিন্ন উপায় বের করলেও একের -পর এক প্ল্যান ভেস্তে যাচ্ছে। কিছুতেই বাগে আসছে না বাঘ। শনিবার বাঘের আতঙ্কে স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীরা। সূত্রের খবর, বাঘের হাত থেকে বাঁচতে
গণস্বাক্ষর-সহ একটি আবেদনপত্রও জমা পড়েছে বলে খবর। তবে বারবার অভিযোগ আসলেও বাঘকে কিছুতেই নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারছেন না বন দফতরের কর্মীরা। আপাতত নাইলনের জাল দিয়ে পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগরের মাইতিপাড়া এলাকা ঘিরে রেখেছে বন দফতর।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠাকুরাইন নদীর চর থেকে শুরু করে ধানের জমিতে একাধিক বার বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। তবে জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরে ফেলা হলেও, তারপরও প্রায়ই বাঘের আনাগোনা টের পাচ্ছেন স্থানীয়রা। এদিকে শুক্রবারও এলাকায় বন্য জন্তুর রক্ত দেখতে পেয়েছেন বলে স্থানীয়রা। আর শনিবার বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি স্থানীয় শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। দ্রুত বাঘের উপদ্রব দূর করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, বাঘের আতঙ্কে নদীতে মাছ বা কাঁকড়া ধরতে যেতে পারছেন না স্থানীয়রা। মাছ ধরেই সংসার চলে তাঁদের, কিন্তু বাঘের আতঙ্কে সাধারণ মানুষদের জীবন-জীবিকায় সঙ্কট নেমে এসেছে।

এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, বাঘ ধনচির জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় রয়েছে। বসতি এলাকায় ঢুকছেই না। তবুও জঙ্গলের দিকটি নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।