দিশাহীন! সাধারণ মানুষের জন্য অন্তর্বর্তী বাজেটে শুধুমাত্র গাল ভর্তি ভরসা ছাড়া কিছুই নেই, বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি বিরোধীদের। এদিন লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে ‘বাজেট অন অ্যাকাউন্ট’ (Union Budget) পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Shitaraman)। আর তারপরই বাজেটে যে সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই নেই তা সাফ জানালেন বিরোধীরা। একজোটে বিরোধীদের দাবি, এই বাজেট ‘বিদায়ী বাজেট।’
এদিন কংগ্রেস নেতা মনীশ তেওয়ারি বলেন, রাজস্ব ঘাটতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’। তিনি আরও জানান, “অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হল ক্রমবর্ধমান রাজস্ব ঘাটতি, কারণ অর্থমন্ত্রীর ভাষণে সংখ্যাগুলি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে ১৮ লক্ষ কোটিরও বেশি এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের অনুদান বিহীন পরিমাণ, এবং এই সংখ্যাটি লাগাতার বাড়তে চলেছে”।
কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বলেন, “এটি একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ছিল। পাশাপাশি এদিনের বাজেট বক্তৃতাকে ‘রাজনৈতিক’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষের জন্য কোনও স্বস্তি ছিল না। এটা সরকারের প্রশংসা করার জন্য একটি রাজনৈতিক বক্তব্য। এই বাজেটের সঙ্গে কৃষক ও দেশের যুব সমাজের কোনও সম্পর্ক ছিল না”।
শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “সরকার অবশেষে বুঝতে পেরেছে যে দেশে এই চার ধরণের (দরিদ্র, মহিলা, যুব এবং কৃষক) মানুষ রয়েছেন। ঠাকরে এদিন আরও বলেন, “মোদি সরকার তার শেষ বাজেট পেশ করেছে। অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তিনি খুব ভারী হৃদয়ে শেষ বাজেট পেশ করেছেন।” এছাড়া বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ দানিশ আলি বলেন, “বাজেটে নতুন কিছু ঘোষণা করা হয়নি”। ডিএমকে নেতা দয়ানিধি মারান বলেছেন, “কিছুই খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, মানুষ ইতিমধ্যেই হতাশ। পাশাপাশি আপ সাংসদ স্বাতি মালিওয়াল বাজেটকে “হতাশাজনক” বলে অভিহিত করে বলেন যে দেশে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব তাদের শীর্ষে রয়েছে।