বকেয়ার দাবিতে শুক্র থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্না, ৬ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো

0
1

বাংলার বকেয়ার দাবিতে শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধর্না আন্দোলন শুরু করছেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জেলাসফরের মধ্যেই সেই সূচির কথা জানিয়ে ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি, ৬ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। সেখানে সংসদে চলছে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট অধিবেশন। ৭ তারিখ ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে বৈঠক। সেখানেও যোগ দিতে পারেন মমতা।

সংসদের অধিবেশন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিতে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বরাও সেই সময়ে দিল্লিতে (Delhi) থাকেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সুসম্পর্ক। তিনি তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যে আবহে বাংলা মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি (Delhi) সফর করছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে লোকসভা নির্বাচন। একদিকে যেমন সংসদে পেশ করা হয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেট তেমনই অন্যদিকে বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী বৈঠকে বসতে চলেছে ৭তারিখ। কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বা বিপক্ষে তাদের সাথে আলাদাভাবে আলোচনা করা হবে। এখনও পর্যন্ত ১২ টি রাজনৈতিক দল এই ধারণার বিরোধিতা করেছে এবং ১০ টি রাজনৈতিক দল এই ধারণাটি সমর্থন করেছে। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, ডিএমকে, এআইএমআইএম এবং আম আদমি পার্টি-সহ বিরোধী দলগুলি এই ধারণার বিরোধিতা করে কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো এর প্রবল বিরোধিতা করেছেন। এর আগে এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পিছনে যুক্তিসঙ্গত কারণেও দেখিয়েছেন মমতা। সেখানে তাঁর প্রশ্ন ছিল, সংবিধানে কি এক দেশ এক এক সরকারের নীতি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে? তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ‘ভারত আসলে একটা যুক্তরাষ্ট্র কোথাও এক দেশ এক সরকারের কথা বলা নেই। এই মৌলিক বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এক দেশ এক ভোটের কথা ভাবা যায় না। ‘ এক দেশ এক ভোট নীতি কী ভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের এই কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে তিনি যোগ দিতে পারেন বলে খবর।