তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। সেই সঙ্গে ৭৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পাকিস্তানের আদালত। বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন ইসলামাবাদের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট।
আজকের রায়ে জেল-জরিমানা ঘোষণার পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন আদালত।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে পাকিস্তানে। পুলিশী অভিযান ও মামলায় দিশেহারা ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে পদে পদে বাধা পাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও আদালতের নিষেদ্ধাজ্ঞার কারণে নির্বাচনে দলের প্রতীক ক্রিকেট ব্যাটও ব্যবহার করতে পারছেন না তারা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এই রায় দিলেন আদালত।
এই আবহে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের (সাইফার) মামলায় ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইয়ের সহসভাপতি শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত।
২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এরপর তার বিরুদ্ধে একে একে শতাধিক মামলা হয়। সেনা সদর দফতরে হামলাসহ ২০২৩ সালের ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় তাকে কমপক্ষে ১২টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেফতারের পর তিনি নাটকীয়ভাবে মুক্তি পান। পরে একই বছর ৫ আগস্ট গ্রেফতার হন। ইমরান খানের প্রথমবার গ্রেফতার হওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল বিভিন্ন ভবন ও গাড়িতে। এমনকি তার সমর্থকরা সামরিক বাহিনীর স্থাপনাতেও হামলা চালিয়ে ছিল। সবশেষ গত বছরের ৫ আগস্ট গ্রেফতার হলে তেমন সহিংসতা হয়নি। বিজ্ঞাপন গত আগস্টে তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় ইমরানকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরে সাজার রায় উল্টে গেলেও তাকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখা হয়।
আজকের রায়ে জেল-জরিমানা ঘোষণার পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন আদালত।