ইসলামপুরের জনসংযোগ সেরে রায়গঞ্জেও জনসংযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পা মেলালেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে স্থানীয় মতুয়া সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষও। উত্তরবঙ্গে সফরের শুরু থেকে রাজ্যের সব প্রান্তের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে এক সুতোয় গাঁথার কাজ শুরু করেছিলেন তারই প্রতিফলন মঙ্গলবারের মুখ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ যাত্রার সর্বত্র দেখা গেল।
রায়গঞ্জের বকুলতলা মোড় থেকে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। যাত্রার শুরুতেই তিনি মাল্যদান করেন পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে। সেখানেই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে জনসংযোগ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে আগের দুই জনসংযোগ যাত্রার মতোই ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও বিধায়ক গোলান রব্বানি। রায়গঞ্জ বাজার এলাকায় শুরুতেই ঢাক বাজিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান স্থানীয় মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে সামলাতে তৎপর হয় স্থানীয় প্রশাসন থেকে বিধায়ক, তৃণমূল নেতৃত্ব।
পথেই একটি মোড়ে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আবার থেমে ঢাকিদেরকে চমকে দিয়ে তাদের থেকে কাঠি চেয়ে নেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঢাকও বাজান তিনি। আবার ছাত্র ও যুব তৃণমূলকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনা সামনি দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। আবার মহিলাদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেই থেমে ফ্রক পরা একটি ছোট্ট মেয়েকে আদর করে জড়িয়েও ধরেন। আবার এক জায়গায় থেমে অনুরাগীদের ছবি তোলার আবদারও মেটান। কোথাও বা দাঁড়িয়ে পড়ে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেন চিরাচরিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভঙ্গিতেই।
শুধু সাধারণ বাসিন্দা না, বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে দেখেও এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আত্মীয়ের মতো তাঁর খোঁজ নেন। এভাবেই সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে প্রায় দু কিলোমিটার পথে হেঁটে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে পৌঁছান তিনি। সেখানেই তাঁর প্রশাসনিক সভা ও পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান।