হাই কোর্টে ‘না’! মেডিক্যালে ভর্তির সমস্ত মামলা নিজেদের হাতেই রাখল সুপ্রিম কোর্ট

0
4

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ (Single Bench) ও ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench) নজিরবিহীন সংঘাতের জেরে মেডিক্যালে ভর্তি মামলা গড়িয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে। তবে সোমবার শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, মূল যে মামলাকে ঘিরে সংঘাত তৈরি হয়েছে, সেই মামলা এবার হাইকোর্ট থেকে সরে যাবে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এদিন আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তিন সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি হবে।

ভুয়ো জাতি শংসাপত্র দেখিয়ে মেডিক্যালে ভর্তির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলাকে কেন্দ্র করে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এরপর বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে লিখিত নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, বিচারপতি সেন একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তে বাধা দিচ্ছেন। তবে সংঘাতে আপাতত ইতি টানতে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করার জন্য এদিন নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় উল্লেখ করেন, কোন মামলায় কে শুনানি করবেন তা ঠিক করে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁর থেকে এই ক্ষমতার কেড়ে নেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে এদিন হাইকোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কের কথাও সুপ্রিম কোর্টে মনে করিয়ে দেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় তাঁকে ছাড় দিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

 

কোনও বিচারপতির নাম না করে এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিযোগ করেন, এক বিচারপতি বিভিন্ন র‍্যালিতে যাচ্ছেন, বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ছবি দেখা যাচ্ছে। তবে প্রধান বিচারপতি এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়, এমন কোনও কথা বলা যাবে না। পাশাপাশি আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর সওয়ালে আরও বলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এ ধরণের আরও মামলা রয়েছে। এর আগে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও তিনি নানারকম পর্যবেক্ষণ দিয়েই চলেছেন। তাই তাঁর এজলাস থেকে অন্যান্য মামলাও সরানো হোক।

গত শনিবারই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে বেনজির সংঘাত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের সমস্ত বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়। সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সোমবার সেই শুনানি আবার শুরু হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হচ্ছে বিশেষ বেঞ্চে।