নরেন্দ্রপুরে শিক্ষকদের বেদম প্রহার নিয়ে কড়া অবস্থান নিল হাই কোর্ট।আদালতের সাফ কথা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনওভাবেই এই গুন্ডামি বরদাস্ত নয়। এমনকী, ওই স্কুলে আপাতত প্রধান শিক্ষককে আসতে নিষেধ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।আজ রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।বারুইপুরের এসপির নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ। এরই পাশাপাশি ম্যানেজিং কমিটির কোনও সদস্যও স্কুলে ঢুকতে পারবেন না বলে সোমবার জানিয়েছে আদালত।একই সঙ্গে শিক্ষা দফতরের দুই আধিকারিককে দুদিনের মধ্যে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার।নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে ঢুকে শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। কিল চড় ঘুষির পাশাপাশি মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে মার, এমনকী হেলমেট দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আক্রান্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, হেড স্যরের দুর্নীতিগুলি সবাই জেনে গিয়েছে। তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দিনের পর দিন আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির পাশাপাশি মারধরের হুমকিও দিয়েছিল। আজ মারা হল।
আক্রান্ত এক শিক্ষিকা জানান, স্কুলে অনেকেই প্রধান শিক্ষকের খাস লোক আছেন। এই হামলায় তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি। যদিও এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এরা দীর্ঘকাল স্কুলে একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। তা আমি কঠিন হাতে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। স্কুলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কিছু আমরা কেন করব?






































































































































