উদাসীনতা! ‘বিপ্লব করা’ প্রধানশিক্ষকদের টাকার ব্যাগ নিয়ে তলব আদালতের

0
3

মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দুদিন আগেও বেশ কিছু স্কুলের পরীক্ষার্থীরা হাতে অ্যাডমিট কার্ড (admit card) পায়নি। শেষ পর্যন্ত তারা আদালতের দ্বারস্থ। সেই মামলার শুনানিতে স্কুলগুলির প্রধানশিক্ষকদের আদালতে তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ বসু। এমনকি তাঁরা সশরীরে আদালতে না এলে পুলিশ দিয়ে নিয়ে আসার কথাও বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই স্কুলের গাফিলতিতে অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়া বেশকিছু পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছে।

২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। তার আগে বাগুইআটি জ্যাংড়া আদর্শ বিদ্যালয় এবং অশোকনগরের সূর্যমৌলানা আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের বেশ কিছু পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়। আদালতের প্রশ্নের জবাবে পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয় স্কুলগুলির পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ নথি না দেওয়ার জন্য এইসব পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু হয়নি। সপ্তাহখানের আগে মালদহ ও বোলপুরের দুটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একইভাবে অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়া পরীক্ষার্থীরা আদালতের হস্তক্ষেপে সেই নথি হাতে পায়।

সোমবার এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বনাথ বসু সরাসরি এই স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের আদালতে তলব করেন। সেই সঙ্গে মোটা টাকার ব্যাগ আনার কথাও বলেন। এর আগে অভিযুক্ত স্কুলগুলিতে মোটা টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। সেই মতো এবারও স্কুলগুলির বড় অঙ্কের জরিমানা (fine) হওয়ার আশঙ্কা।

তবে স্কুলগুলির প্রধানশিক্ষকদের দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি বলেন এই প্রধানশিক্ষকরা ‘বিপ্লব’করার সময় যতটা সচেতন ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ততটা সচেতন তো নন, বরং উদাসীন। কার্যত বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে আন্দোলনে নামার ঘটনাগুলিকে কটাক্ষ করেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে তাঁদের প্রাথমিক কর্তব্য সম্পর্কেও সচেতন করে দেন।