বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে চরম পরিণতি দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) সহকারী কমিশনার (ACP) যশপাল সিংয়ের ছেলের। বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন লক্ষ্য চৌহান। কিন্তু বিয়েবাড়ি গেলেও দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার যশপালের সিং-এর ছেলে লক্ষ্য় আর বাড়ি ফেরেননি। রাত পেরিয়ে পরের দিনও ছেলের কোনও খোঁজ না পেয়ে তৎপর হয় পরিবার। এসিপি নিজে ছেলের জন্য একটি মিসিং ডায়েরি (Missing Diary) করেন। এরপর জোরকদমে শুরু হয় খোঁজ। পরিচিত জায়গাগুলিতে খোঁজ নিলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর বিয়েবাড়ির ঠিকানা ধরে এগোতে এগোতে আচমকাই একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় লক্ষ্য়ের দেহ। খোদ এসিপি-র ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক সকলেই।

তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, খুনের নেপথ্যে রয়েছে লক্ষ্য চৌহানের দুই বন্ধু, বিকাশ ভরদ্বাজ এবং তার সহযোগী অভিষেক। ইতিমধ্যে অভিষেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃত অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে বলে দাবি পুলিশের। অপর অভিযুক্ত বিকাশ অবশ্য এখনও নিখোঁজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু আচমকা কেন খুন করা হল দিল্লি পুলিশ কর্তার ছেলেকে? পুলিশের দাবি, জেরায় অভিষেক জানিয়েছে, বিকাশের কাছ থেকে মোটা টাকা ঋণ নিয়েও তা পরিশোধ করেছিলেন না লক্ষ্য। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার ঝামেলাও হয়। এরই মাঝে গত সোমবার তাঁরা একই গাড়িতে করে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যায়। তখনই লক্ষ্যকে খুন করার পরিকল্পনা করে বিকাশ।

জেরায় অভিষেক পুলিশকে আরও জানিয়েছে, বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার সময় তাঁরা শৌচকর্ম করার জন্য মুনাক খালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ই লক্ষ্যকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে খালে ফেলে দেন বিকাশ।











































































































































