বিচারপতির আসন ছেড়ে সাংবাদিকতায় আসুন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পরামর্শ কুণালের

0
1

“বিচারপতির আসন ছেড়ে সাংবাদিকতায় আসুন”, এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে এমনই পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “কোর্ট আমাদের কাছে বিচারের শেষ ভরসা। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়দের মত দু’একজন বিচারপতি গত কয়েকমাস ধরে রাজনৈতিক পক্ষপাদদুষ্ট আচরণ করেই চলেছেন। অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা করে মামলা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করছেন, মামলার বাইরে মন্তব্য করছেন, এমনকি আদালতের বাইরেও তৃণমূল বিরোধী মন্তব্য করছেন, যা অবাঞ্ছিত। এবার ডিভিশন বেঞ্চের একজন বিচারপতি সম্পর্কে মন্তব্য করে বসলেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে নাকি কি একটা বলেছেন বিচারপতি সেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তো একজন বিচারপতি, উনি তো অমৃতা সিনহার আইনজীবী বা মুখপাত্র নন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার যদি অন্য কোনও বিচারপতির কোনও বক্তব্য বা কোনও বিষয় খারাপ লেগে থাকে তাহলে সেটা আদালতের অভ্যন্তরে জানানোর পদ্ধতি আছে। কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অমৃতা সিনহার মুখপাত্রের কাজ করছেন। এই ঘটনায় মনে হচ্ছে হাইকোর্টে তৃণমূল বিরোধী দু’একজন বিচারপতি একটি উপদল তৈরি করেছেন।”

কুণালের সংযোজন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একের পর এক নির্দেশ স্থগিতাদেশ পাচ্ছে। সেই কারণে উনি একটু হতাশায় ভুগছেন। ওনার উচিত বিচারপতির আসন ত্যাগ করে আদালতে মিডিয়ার কাজ করুন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক হলে সাংবাদিক জগৎ সমৃদ্ধ হবে। উনি যে সংবাদ মাধ্যমের কাজ করবেন সেই মিডিয়া হাউসও উপকৃত হবে, কোর্টের মধ্যে কোন ঘরে কী হচ্ছে, কে কাকে নিয়ে ফিসফাস করছে, সেই সমস্ত কিছু এসক্লুসিভ খবর তিনি সাংবাদিক হিসেবে দিতে পারবেন।”

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্ট বলেও মন্তব্য করে কুণাল। তাঁর কথায়, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূল বিরোধী, তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাদদুষ্ট, নানাভাবে প্রচারের আলোয় থাকতে ভালবাসেন। এবং এমন কিছু বলতে চান যেটা নিয়ে এ রাজ্যের বিরোধীরা হাতিয়ার করতে পারে। এতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা হারাবেন। এটা আদালতের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। মাথা গরম করে আদালতকে অশান্তির জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। ওনার ভুলভাল নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেলে মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। ওনার মাথা ঠাণ্ডা করা দরকার।”

আরও পড়ুন- গোয়ার পরিবর্তে অযোধ্যা, মধুচন্দ্রিমার ডেস্টিনেশন বদলে যাওয়ায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী!