তৃণমূল ‘হাত’ ছাড়তেই মহা ফ্যাসাদে দল, বাংলায় এসে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাহুল

0
10

লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) বাংলায় হাত ছাড়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার তৃণমূল নেত্রী সাফ জানিয়েছেন, কাউকে দরকার নেই। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বাংলায় একাই লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কারণ হিসাবে কংগ্রেসের একাধিক ‘গাজোয়ারি পদক্ষেপের’ কথা তুলে ধরে মমতা সাফ জানান, জাতীয় রাজনীতিতে কী হবে তা পরে চিন্তাভাবনা করা যাবে কিন্তু বাংলাতে কোনোভাবেই জোট হচ্ছে না বলে জানান তিনি। আর বৃহস্পতিবার বাংলায় এসে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সাফ জানালেন, বিজেপি-আরএসএস (BJP RSS) দেশে হিংসা ছড়াচ্ছে। আর সেকারণেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি, আরএসএসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি সাফ জানান, ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে লড়াই করবে।

বুধবারই বর্ধমানে সভা করতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না তৃণমূল। এরপরই চরম কটাক্ষের মুখে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি সাফ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ইন্ডিয়া জোটের প্রধান মুখ। আর সেকারণে তৃণমূল-সহ জোটের দলগুলির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় কংগ্রেস। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অন্যরকম হলেও বাংলায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সিরা একের পর এক ইচ্ছেমতো পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার জেরে ধীরে ধীরে বঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে কংগ্রেসের। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাংলায় ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে প্রবেশের পর কোচবিহারের বক্সারহাট থেকে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে তৃণমূল-সহ বিরোধী জোটের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাহুল। রাহুল এদিন সাফ জানান, “ভারত জোড়োর সঙ্গে ন্যায় শব্দটি যুক্ত হয়েছে। বিজেপি ও আরএসএস দেশে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। দেশবাসীর সঙ্গে এরা অন্যয় করছে। ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করছে I.N.D.I.A। তবে এদিন রাহুলের বাংলায় প্রবেশের আগে অধীর চৌধুরীর লাগাতার বিরোধী পদক্ষেপের জন্য কোচবিহারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখান।

এদিন বক্সীরহাটে সংক্ষিপ্ত সভার পরে তুফানগঞ্জে যান রাহুল এবং তাঁর যাত্রাসঙ্গীরা। তবে বৃহস্পতিবার কোচবিহার সদর মহকুমার খাগড়াবাড়ি, মা ভবানী এলাকায় পদযাত্রা করার কথা থাকলেও সেই কর্মসূচির বদল হয়েছে বলে খবর। এদিন পদযাত্রার পরিবর্তে গাড়িতে করেই ‘ন্যায় যাত্রা’ সারেন রাহুল। সময় সংক্ষেপ করতেই এমন সিদ্ধান্ত। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি কারণে রাহুলকে দিল্লি যেতে হচ্ছে। আর সেকারণে সূচিতে কাটছাঁট করেই কোচবিহারের যাত্রা শেষ করে হাসিমাখা পৌঁছন রাহুল। সেখান থেকেই বায়ুসেনার বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তবে আগামী ২৮ তারিখ ফের বাংলায় আসবেন রাহুল।