ভারত–মায়ানমার সীমান্ত বন্ধের প্র.তিবাদ মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী ও কুকি জনগোষ্ঠীর

0
2

ভারত-মায়ানমার সীমান্ত বেড়া দিয়ে বন্ধ করার বিরোধিতা করবে মিজোরাম সরকার ও আদিবাসী কুকি জনগোষ্ঠী।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভারত-মায়ানমার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরাম সরকার ও কুকি জনগোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল না।

আদিবাসী কুকি সমাজের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন কুকি-ইনপি বলেছে, এ সিদ্ধান্ত মৌলিক সমস্যার সমাধান করবে না। আসাম পুলিশের কমান্ডো বাহিনীর ‘পাসিং ডে প্যারাডে’ অমিত শাহ গত শনিবার গুয়াহাটি বলেছিলেন, উত্তর–পূর্ব ভারতে মায়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত সিল করে দিতে চলেছে ভারত। শাহ বলেছিলেন, মায়ানমারের সঙ্গে পুরো সীমান্ত বাংলাদেশের মতো বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হবে। মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের যে অবাধ যাতায়াতের চুক্তি আছে, সেই চুক্তি ভারত সরকার পুনর্বিবেচনা করবে। দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থাও বন্ধ হবে।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা বলেছেন, সম্প্রতি তাঁর দিল্লি সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সীমান্ত বন্ধ করা এবং অবাধ যাতায়াত চুক্তি রদ করার বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছিলেন। এ কারণে অমিত শাহর ঘোষণা তাঁকে ‘বিস্মিত ও আহত’ করেছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবাধ যাতায়াত বাতিল করা এবং মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়নে খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কারণ, তাঁরা আমার অবস্থানের বিরোধিতা করেননি।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিজোরাম সরকার ও মিজো জনগণ কেন্দ্রীয় সরকারের অবাধ যাতায়াত বাতিল করার পাশাপাশি মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে না। কারণ, এটি তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভুল নীতির স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হবে।’একই বক্তব্য দিয়েছে আদিবাসী কুকি সমাজের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন কুকি-ইনপির সংগঠন। তারা এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এ সিদ্ধান্ত পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জটিল সমস্যার সমাধান করবে না। তবে জটিল সমস্যা কী, সেটা বিবৃতিতে বলা হয়নি। ভারত ও মায়ানমার সীমান্তের দুই পাশে বসবাসরত বাসিন্দাদের ভিসা ছাড়াই একে অন্যের অঞ্চলে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। ভারতের চারটি রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মিজোরামের সঙ্গে মায়ানমারের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন- মরোণো.ত্তর ‘ভারতরত্ন’ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুরকে