রামমন্দিরের অনুষ্ঠানের আগের রাতে সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তাল হয়েছিল মুম্বইয়ের উপকণ্ঠে অবস্থিত থানে জেলার মীরা রোড। সেই ঘটনার পরেই ‘বুলডোজার নীতি’ চালু হল সংশ্লিষ্ট এলাকায়। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ ভাঙা হল ওই এলাকার একাধিক বাড়ি ও দোকান। ঘটনার দিন যে সব বাড়ি থেকে পাথর ছোড়া হয়েছিল বেছে বেছে ভাঙা হল সেই বাড়ি ও দোকান। প্রশাসনের দাবি, ওগুলি বেআইনি কাঠামো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেও জানিয়ে দিয়েছেন, ওই এলাকায় যত বেআইনি বাড়ি, দোকান রয়েছে সব ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে একনাথ শিণ্ডে নিজেও থানের বাসিন্দা। ফলে নিজের এলাকাতে এহেন ঘটনায় কড়া হাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির।

একদিকে অযোধ্যার রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতেছিল সারা দেশ, ঠিক সেই সময় রবিবার রাতে মীরা রোডে সাম্প্রদায়িক হিংসায় মেতে উঠেছিল দুই গোষ্ঠী। রামের নামের পতাকা লাগানো থাকা যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। গাড়িতে ভাঙচুরের সময় ধর্মীয় স্লোগান ওঠে। পাশাপাশি, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার উপলক্ষে সেখানে বাজি ফাটানো হয়। সেই সময় স্থানীয়রা লাঠি নিয়ে চড়াও হয় ‘রামভক্তদের’ ওপর। সেখানেও হামলা চালানো হয় গাড়িতে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসতেই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। পুলিশের দাবি, রবিবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। পরদিন সকালে ওই এলাকায় মিছিল করেন বহু মানুষ। সেখানেও বিক্ষিপ্তভাবে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে।
গোটা ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন এই ঘটনায়। এরপরই মঙ্গলবার বুলডোজার চালানো হয় মীরা রোড এলাকায়। কেউ যাতে গুজবে কান না দেন তা নিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ধরনের উস্কানিমূলক ভিডিয়ো পোস্ট করতে বারণ করা হয়েছে।










































































































































