ডুবতে বসেছে ‘দেবভূমির দরজা’ জোশীমঠ। শহর বাঁচাতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। তবে জানা যাচ্ছে শহর বাঁচাতে যত দ্রুত সম্ভব ভাঙতে হবে জোশীমঠের অন্তত ১ হাজার বাড়ি। ইতিমধ্যেই সেই নির্মাণগুলিকে চিহ্নিত করা গেলেও নিজের বসতবাড়ি ছাড়তে রাজি নন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার জেরে গুরুতর সমস্যায় পড়েছে রাজ্য প্রশাসন।
জোশীমঠ যে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেখানে যথেচ্ছ নির্মাণ যে বিপদে ডেকে আনতে পারে শতাব্দীর সাত এবং আটের দশকে তা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সে সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে যথেচ্ছ পরিমানে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে এই শহরে। বেসরকারি নির্মাণের পাশাপাশি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। এর পর ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জোশীমঠে বিপর্যয় দেখা দেয়। গোটা শাহরের একাধিক এলাকা বসে যায়। ফাটল ধরে অসংখ্য বাড়িতে। সমস্যা সমাধানে সমীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের ৩৫ শতাংশ এলাকাই ‘হাই রিস্ক জোন’। অতিঝুঁকিপূর্ণ চারটি পুরসভা এলাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলি অবিলম্বে খালি করতে হবে। কমপক্ষে ১০০০টি বাড়ি ভাঙার কথা বলা হয়েছে। তবে দীর্ঘ দিনের আশ্রয় ছাড়তে রাজি নন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারের তরফে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হলেও বাড়ি ছাড়তে নারাজ তাঁরা। সব মিলিয়ে রীতিমতো চাপে পড়েছে প্রশাসন।