যুদ্ধ থামার লক্ষন নেই বরং উত্তরোত্তর তা আরও গুরুতর আকার নিতে শুরু করেছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় কার্যত রক্তের বন্যা বইল গাজায়। দক্ষিণ গাজায় ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হল ১৯০ জনের। তেল আভিভের লক্ষ্য দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসকে দখল করে ফেলা। ইতিমধ্যেই দুটি হাসপাতাল তাদের দখলে চলে গিয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে, গাজায় যুদ্ধ চালাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের (Israel) ২১ জন সেনা।
লাগাতার হামলার জেরে গাজার মাটিতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। শেষ ২৪ ঘন্টায় ইজরায়েলের হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হামাসের নিয়ন্ত্রানাধীন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় অন্তত ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েল সেনার হামলায়। অন্যদিকে, গাজার মাটিতে হামলা চালাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন ইজরায়েলি সেনা। আইডিএফের প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি দাবি করেছেন, একটি রকেট থেকে ছোড়া গ্রেনেড দুটি বাড়ির কাছাকাছি থাকা একটি ট্যাঙ্কে আছড়ে পড়ে। তাতেই মারা যান এতজন সেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে খান ইউনিসের আল-খয়ের হাসপাতাল চলে গিয়েছে ইজরায়েলি সেনার দখলে। এছাড়াও আরও একটি হাসপাতাল সেনার হাতে চলে এসেছে। এহেন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ গাজায় ইজরায়েলি সেনা ঢুকে পড়ার পরে সাধারণ মানুষ শহরটি ছেড়ে আরও দক্ষিণ চলে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। ওই আক্রমণে মৃত্যু হয় ১২০০ জন ইজরায়েলির। জেহাদিদের হাতে পণবন্দি হন ২৪০ জন। গত নভেম্বর মাসে সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে মুক্ত হয়েছিলেন ১০৫ জন। কিন্তু এখনও বন্দি রয়েছেন শতাধিক। ইহুদি দেশটির হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজারের উপর প্যালেস্তিনীয়র।