ভারতের প্লেনে ‘না’, মালদ্বীপে অসহায় মৃত্যু কিশোরের

0
2

রাষ্ট্রপতির ভারত বিরোধিতার খেসারত প্রাণ দিয়ে দিতে হল কিশোরকে। ভারতের দেওয়া উড়ান বন্ধ মালদ্বীপে। নিজেদের দেশের বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি (technical issue)। ১৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করে হৃদরোগে আক্রান্ত কিশোরকে হাসপাতালে আনা গেলেও বাঁচানো গেল না প্রাণ। মালদ্বীপের ১৪ বছরের কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় আবার সমালোচনার মুখে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু।

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত মালদ্বীপের ১৪ বছরের এক কিশোর আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। রাজধানী মাল (Male) শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিমি দূরের একটি দ্বীপ থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া পরিবহন সম্ভব ছিল না। তাকে মাল শহরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হত। আইল্যান্ড এভিয়েশন-এ (Island Aviation) যোগাযোগ করে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের (air ambulance) সাহায্য চান কিশোরের পরিবার। কিন্তু মালদ্বীপ প্রশাসন সেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে ১৬ ঘণ্টা পরে।

মালদ্বীপে ছোট ছোট দ্বীপে যাতায়াতে বিশেষত জরুরি অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেরই সাহায্য নিতে হয়। ২০২০ সালে মালদ্বীপকে এরকম ছোট ডনিয়ার (Dornier aircraft) প্লেন ‘উপহার’ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। মালদ্বীপের সীমানায় নজরদারি সংক্রান্ত নিরাপত্তার কাজেও এই প্লেন ব্যবহার করা হত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বিমান ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

১৪ বছরের কিশোরের পরিবার তাকে মাল নিয়ে যাওয়ার জন্য বিমান দফতরের কাছে আবেদন জানালে তারা এই ব্যবস্থার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আসান্ধা কোম্পানির (Aasandha Company Limited) সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু তাঁদের বিমানে ত্রুটি থাকায় তাঁরা সময় মতো পরিষেবা দিতে পারেনি। অন্যদিকে ভারতের দেওয়া প্লেন থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হল কিশোরের। আর তারপরই দেশের একাধিক রাজনৈতিক নেতা রাষ্ট্রপতির ভারত বিরোধিতার সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন।