আমন্ত্রিতদের ‘স্বাগত’, তবু ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে দ্বিধায় ইকবাল আনসারি

0
1

অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেয়েছন। অযোধ্যায় বিমানবন্দর উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ে ফুলও ছড়িয়ে ছিলেন। মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে তাঁর বিরোধিতা নেই বলেই সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বরাবর স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আগে একটু বেশিই চুপচাপ ইকবাল আনসারি (Iqbal Ansari)। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রকাশ করেছেন সন্দেহ।

সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কি না স্পষ্ট করে জানাননি ইকবাল আনসারি। যদিও বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) সংক্রান্ত মামলাকারীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে এতটকু দেরি করেননি রামমন্দির কর্তৃপক্ষ। ধর্মের থেকে বেশি যে অযোধ্যায় রাজনীতির বন্যা বয়েছে তার অন্যতম কাণ্ডারি ইকবাল কখনই হতে চাননি। তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য বিজেপি সরকারও অনেক সময় তাঁর ওপর নির্ভর করেছে। সেই ইকবাল মন্দির উদ্বোধনের আগে উদ্বোধন-পরবর্তী অযোধ্যা নিয়ে খানিকটা আশঙ্কায়।

ইতিমধ্যেই অযোধ্যা ভরে গিয়েছে দেশ-বিদেশ থেকে আগত অতিথিদের নিয়ে। অযোধ্যার অতিথিদের স্বাগত (welcome) জানাচ্ছেন ইকবাল। আর অতিথিদের সম্মানার্থে অযোধ্যার অনেক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি ইকবালের। তবে সবধর্মের মানুষের পারস্পরিক বিবাদ ও মেলামেশার বিষয়টিই বেশি করে ফুটে ওঠে তাঁর কথায়। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর কথায় অযোধ্যা সব ধর্মের মানুষকে সরযূর জলে স্নানের অধিকার দিয়েছে। রামমন্দির উদ্বোধনে আগত অতিথিরা যেন রামের দেখানো পথ অনুসরণ করে শান্তির সহাবস্থানে থাকে, তার বার্তা দেন ইকবাল।