খুলে গেল চন্দননগরের ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার দরজা

0
1

একটি কলেজ যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বন্ধই করে দেওয়া হয়েছিল। এই বাংলা থেকে যে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু হয়েছিল, সেখানে শিক্ষার্থীদের অবদান যে থাকবেই তা বলাই বাহুল্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই জাতীয়তাবাদের প্রথম বীজ পোঁতা হয়েছিল, তারই সাক্ষ্য বহন করে চন্দননগর কলেজ। শহরের সেই ঐতিহ্য নিয়েই এবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেল চন্দননগর জাদুঘর।

সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়ানোর দায়ে ১৯০৮ থেকে টানা ২৩ বছর বন্ধ ছিল চন্দননগর কলেজ। সম্প্রতি সেই ভবন সংস্কার এবং তার একাংশে শহরের শিল্প-সংস্কৃতি, বিপ্লব আর কলেজের ইতিহাস নিয়ে জাদুঘর গড়ে তোলা হয়। গত বছর ৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে বিপ্লবীদের স্মৃতির উদ্দেশে জাদুঘরটি উৎসর্গ করা হয়। খোঁজ শুরু হয় আড়াইশো বছরের পুরোনো চন্দননগরের রথের। সেই রথের প্রায় ১৩ ফুট লম্বা দু’টি নিম কাঠের ঘোড়াকে জাদুঘরের সামনে বসানো হয়।

গত বছর ৩১ অগস্ট চন্দননগর কলেজে জাদুঘর চালু হয়েছিল। শিল্বী শৈবাল দাস, সৈকত নিয়োগী, সৌমব্রত দাশগুপ্ত, সমীর রায়, পার্থপ্রতিম সাহাদের প্রচেষ্টায় জাদুঘরটিকে সাজিয়ে তোলা হয়। সেই সময়ই ৩০ জন বিদেশি এই জাদুঘর দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। রবিবার তাঁদের আসার সঙ্গে সঙ্গেই সকলের জন্য খুলে দেওয়া হলো জাদুঘর। এখন থেকে প্রতি শনি ও রবিবার বিকেল তিনটে থেকে ছ’টা পর্যন্ত তা খোলা থাকবে এই ঐতিহাসিক জাদুঘর।