রেশন বন্টন মামলার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন তিনি। গ্রেফতারির পর থেকেই এমন দাবি করে আসছিলেন রেশন বন্টন মামলায় ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য (Shankar Adhya)। আর শনিবারও সেই একই অবস্থানে অনড় থাকলেন তিনি। ইডি হেফাজতের (ED Custody) মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে শনিবারই শংকরকে আদালতে পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার আগে ইডি দফতর থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার (Health Check Up) জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তখনই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন শংকর। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন রেশন বন্টন মামলায় কত টাকা লেনদেন করেছেন? উত্তরে শংকর সাফ জানান, আমরা কিছুই জানি না। এক পয়সাও নিইনি। এটা একটা অভিযোগ। এর কোনও প্রমাণ নেই। পাশাপাশি এদিন ফের নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শনিবার শঙ্করকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। আদালত কক্ষের বাইরে হাউহাউ করে কেঁদে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। এদিন আদলতকক্ষ থেকে শঙ্করকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় কেঁদে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। কার্যত স্বামীর পায়ে কাছে বসে পড়েন। বলতে থাকেন শঙ্করের চেহারা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এরপর শঙ্করই নিজের স্ত্রীকে তোলেন। পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে।

গত ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বনগাঁর বাড়িতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা টানা তল্লাশি চালিয়ে রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল ইডি। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করিয়ে ইডি জানায়, ২০ হাজার কোটি টাকার বিদেশে লেনদেন করেছেন শঙ্কর। রেশন বন্টন মামলার সঙ্গে সেই টাকার যোগ থাকতে পারে বলে ইডির অনুমান। শঙ্কর অবশ্য সে সব অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।










































































































































