বারবার কাঠগড়ায় খাদ্য দফতর। চাষীদের থেকে ধান কেনা থেকে রেশনের চাল পৌঁছানোয় কোথায় আসল গলধ। এবার একাধিক দফতরের সমন্বয়ে সেই গণ্ডগোল খুঁজে ব্য়বস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল খাদ্য় দফতর। অসাধু চালকল ব্যবসায়ী ও ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু পর্যালোচনা। বদলে যাচ্ছে এই সংক্রান্ত একাধিক নিয়মও।
রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ আসে, একাংশের অসাধু চালকল মালিক ওই চাল ভাঙিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে এবং পরিবর্তে নিম্ন মানের ধান বাজার থেকে কিনে তার চাল খাদ্য দফতরকে ফেরত দিচ্ছে। এই বেনিয়ম রুখতে রুখতেই চাল কল গুলির বিদ্যুৎ খরচের প্রকৃত হিসাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খাদ্য দফতরের কর্তারা বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন। এই চালকলগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য বিদ্যুতের বিল হিসাব করবে বিদ্যুৎ দফতর।
মিল মালিকদের পাশাপাশি ফড়ে দৌরাত্ম্য ঠেকাতেও তৎপর রাজ্য খাদ্য দফতর। মিল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া দেওয়া হচ্ছে কোনও মিলমালিক একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ধান কেনার প্রক্রিয়া বারবার করতে পারবে না। বারবার জায়গা পরিবর্তন করে ধান কিনতে হবে। এর আগেই এই প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সংগ্রহ কেন্দ্রে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা এবং চাল কলে সেই ধান থেকে চাল বের করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াটিই ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। জায়গা পরিবর্তন করে যে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলি হবে তাতেও কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি চালাবে খাদ্য দফতর।
রাজ্যের পক্ষ থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়ার নজরদারির জন্য নোডাল অফিসারের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ২৩ জেলায় ২৩ নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আধিকারিকদেরও ১৫ দিন অন্তর বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর।