অবশেষে! রাজ্যের বকেয়া মেটাতে বৈঠকে ডাক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের

0
1

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একমাস কেটে গেলেও কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবশেষে ২৩ জানুয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সচিবদের বৈঠকে ডাকল কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। বৈঠকে রাজ্যের ছয় দফতরের সচিবদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে।

আবাস যোজনা থেকে একশোদিনের কাজ – রাজ্যের যোগ্য প্রাপকদের তালিকা তৈরি করেও সাধারণ মানুষকে প্রকল্পের সুবিধা দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়া থেকে আন্দোলনেও নেমেছেন। ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাপ্য নিয়ে বৈঠকও করেন তিনি। যদিও ২০ মিনিটের বৈঠকে কেন্দ্রের আধিকারিক ও রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে জটিলতা কেটে যাওয়ার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের দিক থেকে কোনও ডাক আসেনি। ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় বিভিন্ন দফতরের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রের আধিকারিকরা তদন্ত করে গিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

অবশেষে মুখ্যসচিব (Chief Secretary) বিপি গোপালিকার কাছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ডাক পাঠানো হল আলোচনার জন্য। রাজ্যের ছয় দফতরের সচিবদের পাশাপাশি কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবরাও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের (P&RD) সচিব পি উলগানাথান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের (Health and Family Welfare) সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, পুর ও নগরোন্নয়ন (Municipal and Urban Development) সচিব খলিল আহমেদ, শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন ওই বৈঠকে যোগ দেবেন ওই বৈঠকে।

রাজ্যে আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া বন্ধ দীর্ঘ কয়েক মাস। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাড়ি বিলির কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের আগে জনসমর্থন আদায়ে প্রকল্পগুলিই তাদের হাতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি টাকা আটকে আছে রাজ্যের। এই প্রকল্পের প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বাংলার পাওনা বলে জানা গিয়েছে। একশো দিনের কাজে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রয়েছে। স্বাস্থ্য মিশনে ২৮০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রে। ৬০:৪০ অনুপাতে যে টাকার হিসাব হওয়ার কথা সেখানে রাজ্য দিয়েছে ১৩০০ কোটি টাকা। বৈঠকের পরে এই বকেয়া মেটানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকার নেবে কী না তা এখনও প্রশ্নের মুখে। তবে এরাজ্যেও আবাস যোজনা, স্বাস্থ্য মিশন, একশো দিনের কাজের মতো প্রকল্প থেকে ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে ঘোরাতে চাইছে বিজেপি।