এক শিক্ষক ও করনিকের ইস্তফায় ফের এজেন্সির নজরে সুতির গোঠা হাইস্কুল!

0
1

ফের খবরের শিরোনামে সুতির গোঠা এ.রহমান হাইস্কুল (উচ্চমাধ্যমিক)। ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর ছেলে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবার আচমকাই সেই স্কুলের সহশিক্ষক আবদুল রাকিব ও করণিকও করণিক আবদুর রাহিদ ইস্তফা দিলেন, যা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।জানা গিয়েছে, ইস্তফা দেওয়া শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসতেন। তবে ওই করণিক এক বছর ধরে নানান অজুহাতে ছুটিতে ছিলেন বলে অভিযোগ।বর্তমান টিচার-ইনচার্জ মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, একজন সহশিক্ষক, একজন ক্লার্ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁরা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন।এই স্কুলে ৩ হাজার পড়ুয়া। অথচ একজন ক্লার্ক ছিলেন। যদিও তিনি এক বছর ধরে স্কুলে আসছিলেন না। এরমধ্যে হঠাৎ ইস্তফা দিলেন। জানি না তারা ইস্তফা কেন দিলেন?

প্রসঙ্গত, স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির নামে অভিযোগ ওঠে নথি জাল করে তিনি ছেলেকে স্কুলে চাকরি দেন। সিআইডি তার তদন্ত শুরু করে। সেই ঘটনায় আশিস ও তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি গ্রেফতার হন।বর্তমানে জামিনে আছেন তাঁরা। প্রাক্তন ডিআইকেও গ্রেফতার করা হয়।জানা গিয়েছে, এই নিয়োগকাণ্ডে ওই শিক্ষক ও ওই করণিককে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে সুতির শেরপুরের বাসিন্দা আব্দুর রাকিব এই স্কুলে কাজে যোগ দেন। করণিক আব্দুর রাহিদ কাজে যোগ দেন পরের বছর, ২০১২ সালে। তিনি সুতির সোদপুরের বাসিন্দা। দু’জনের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। রাহিদের বাড়িতে গেলেও তাঁর দেখা মেলেনি। আব্দুল রাকিবের বাড়িতে গিয়েও একই উত্তর মেলে। জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, স্কুলের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন এই স্কুলের শিক্ষক এবং করণিক ইস্তফা দিয়েছেন। তবে কী কারণে এই ইস্তফা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।