কোনও বাড়তি সময় দেওয়া হবে না। রবিবারের মধ্যেই ১১ জন অপরাধীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। বিলকিস বানোর গণধর্ষণে অপরাধীদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে অপরাধীদের কোনও অজুহাত পাত্তা পেল না সুপ্রিম কোর্টে।
১১ জন ধর্ষকের মুক্তির সিদ্ধান্ত খারিচ করে সম্প্রতি আদালত নির্দেশ দিয়েছিল রবিবারের মধ্যে জেলে ফেরত যেতে হবে তাদের। তবে আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবাদন জানায় ৩ অপরাধী গোবিন্দভাই, রমেশ চন্দনা এবং মিতেশ ভাট। এক্ষেত্রে একেকজনের ছিল একেকরকম অজুহাত। গোবিন্দভাইয়ের আবেদন বৃদ্ধ বাবা-মার দেখভালের জন্য তাকে সময় দেওয়া হোক, রমেশের বক্তব্য ছেলের বিয়ের জন্য ৬ সপ্তাহ সময় চাই। তৃতীয়জন মিতেশ ভাটের অজুহাত, ফসল উৎপাদন করতে বাড়তি ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে এদিন শীর্ষ আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে জানায়, “যে সব কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণ পিছোনোর চেষ্টা করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। শুধু এই কারণে কারও জেলযাত্রা আটকানো যায় না।”
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট মুক্তি পেয়েছিল ওই সাজাপ্রাপ্তরা। সরকারি তরফে জানানো হয়, জেলে ওই ১১ অপরাধীর ব্যবহার দেখেই তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই যুক্তি শেষ পর্যন্ত বাতিল করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায়ে জানায়, ১১ জন আসামিকেই আগামী রবিবারের মধ্যে জেলে ফেরত যেতে হবে। তবে অপরাধীদের তরফে নানা অজুহাত তোলা হলেও তা গ্রাহ্য হল না শীর্ষ আদালতে।