‘হুব্বা শ্যামল’-এর স্মৃতি ফেরালেন মোশারফ, ব্রাত্য বসুর নতুন ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ

0
1

সিনেমা এমন এক মাধ্যম যা সমাজের দর্পণ হয়ে উঠতে পারে অনায়াসে। সামাজিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে তৈরি গল্পের অনুরণন দর্শকের মনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। তবে সমাজমাধ্যমের সৌজন্যে মুঠোফোনে বন্দি হওয়া সিনে জগতকে নতুনত্বের স্বাদ দিয়ে হলমুখী করার ক্ষমতা বাংলার যে কজন পরিচালকের মধ্যে রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিশিষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ভারত – বাংলা যৌথ প্রচেষ্টায় বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর পরিচালিত ছবি ‘হুব্বা’ (Hubba)। দুই বঙ্গেই প্রিমিয়ার হয়েছে বৃহস্পতিবার। বাংলার মানুষের শুভেচ্ছা – ভালবাসার পাশাপাশি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ‘হুব্বা’-র প্রিমিয়ারের (Hubba Premiere in Bangladesh)পর উচ্ছ্বসিত দর্শক। সে দেশের সাংবাদিক থেকে শুরু করে সিনে বিশ্লেষক, সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই ছবি দেখে অভিনন্দনে ভরিয়ে দিলেন পরিচালক, প্রযোজক, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের। বাংলার রিয়েল গ‌্যাংস্টারের গল্প বলতে গিয়ে ব্রাত্য বসু কোনও অবিশ্বাস‌্য ফাইট সিকোয়েন্সকে হাতিয়ার করেননি। বরং যেভাবে অপরাধ, খুনের নৃশংসতার সঙ্গে কিছু যৌনতার মিশ্রনে হালকা কমেডির মোড়কে হাড়হিম করা বাস্তব তুলে ধরেছেন তাতে মুগ্ধ পূর্ববঙ্গের দর্শকরা।

ফ্রেন্ডস্ কমিউনিকেশন (Friends Communication)প্রযোজিত, ব্রাত্য বসুর নতুন ছবি ‘হুব্বা’তে নায়ক- নায়িকার প্রেম আর ভিলেনের সঙ্গে লড়াইয়ের বাইরে গিয়ে নতুনত্বের স্বাদ মিলেছে। প্রিমিয়ার শেষে এমন কথাই বলছেন বাংলাদেশের দর্শকরা। মুখ্য ভুমিকায় রয়েছেন ওপার বাংলার সুপারস্টার মোশারফ করিম (Mosharraf Karim)। গোটা সিনেমায় তিনি অনবদ্য। ছবিতে নয়ের দশকে হুগলির ঘুম কেড়ে নেওয়া ডনের কার্যকলাপ ধরা আছে। কীভাবে তিনি এলাকার ত্রাস হয়ে ওঠেন তা সিনেমায় ধরতে গিয়ে ব্রাত‌্য বসু একেবারে শিকড়ে ফিরে গিয়েছেন। ‘হুব্বা’র মতো অনুতাপহীন খুনি যে কতটা ভয়ঙ্কর তা পরিচালক – অভিনেতার দক্ষ রসায়নে ছবির প্রতিটি ছত্রে ফুটে উঠেছে। “হুব্বাকো পাকড়না মুশকিলই নেহি, নামুমকিন হ‌্যায়” -মোশারফ করিমের মুখে এই সংলাপ একেবারে সিনেমার আসল স্পন্দনকে ছুঁয়ে গেছে।

দর্শকরা বলছেন, বাংলাদেশে এমন ছবি এর আগে তাঁরা দেখেননি। নবীন থেকে প্রবীণ সকলেই একবাক্যে পরিচালকের মুন্সিয়ানাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ব্রাত্য বসু একজন গুণী শিল্পী, তাই তাঁর ছবি ঘিরে একটা আলাদা প্রত্যাশা থাকে। তবে বলাইবাহুল্য এই সিনেমার নির্মাণ দক্ষতা পাশ্চাত্যের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার মতো। সংলাপ থেকে আবহ, দৃশ্যপট থেকে সম্পাদনা, অভিনয় থেকে পরিচালনা সব কিছুতেই বাংলাদেশের মন জয় করেছে ‘হুব্বা’। সেখানকার মানুষের প্রতিক্রিয়া নিজের সমাজমাধ্যম পোস্টে শেয়ারও করেছেন ব্রাত্য। আজ সর্বসাধারণের জন্য দুই বাংলায় একই সঙ্গে মুক্তি পেল এই ছবি।