শ্রাচীর রেনেসাঁ টাউনশিপে জমজমাট উইন্টার কার্নিভাল

0
1

বর্ধমানের রেনেসাঁ টাউনশিপে গত ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হল উন্টার কার্নিভাল।উদ্যোগ শ্রাচী গ্রুপের।অনুষ্ঠিত হল মনসুন ড্রাইভ ১২।কি ছিল না এই উইন্টার কার্নিভালে। মহিলাদের জন্য যেমন ছিল মজাদার খেলার আয়োজন, তেমনই ছোটদের জন্য ছিল গ্রুপ গেমস।স্ট্রিট ফুডের নানান সম্ভারে দেদার মজা নিয়েছেন সবাই। ছিল সেলফি কর্নার যেখানে মনের আনন্দে সবাই সেলফি তুলেছেন। এরই পাশাপাশি বেলুন শুটিং এর ব্যবস্থা এবং রেনেসাঁর অর্গানিক ফার্মের নানান জিনিস এখান থেকে কিনতে পাওয়া গিয়েছে।এরই সঙ্গে ছিল মজাদার পুরস্কার।আর বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিল ‘আলোকবর্ষ’ মিউজিক ব্যান্ডের পরিবেশন।

আসলে প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখে নতুন বাড়ির। যার স্নিগ্ধ ছায়ার পরশে দিনের শেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এই রাজ্যের স্বপ্নসন্ধানীদের স্বপ্নের হদিশ দিতেই তৈরি হয়েছে রেনেসাঁ। জাতীয় সড়ক ২-এর উপরে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই রেনেসাঁ টাউনশিপ। সেই বর্ধমান শহর, যার ইতিহাসের খাতায় লুকিয়ে রয়েছে কত-শত গল্পকথা।

প্রায় ২৫০ একর জায়গা জুড়ে একটু একটু করে গড়ে উঠছে এই স্বপ্ন নগরী। কী নেই সেখানে! আস্ত একটা শহরে যা থাকে সবই মিলবে এখানে। হয়তো একটু বেশিই। শহরের আদলেই হাসপাতাল, স্কুল, বাংলো থেকে বাজারে সেজে উঠছে এ টাউনশিপ। শ্রাচীর উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ টাউনশিপ সার্থকনামাই বটে। বর্ধমানের উপকণ্ঠে এ যেন এক রেনেসাঁই। আস্ত একটা শহরই ক্রমে ক্রমে যেন জেগে উঠছে। তবে একদিনে তা সম্ভব হয়নি। বহুদিনের পরিশ্রম, অধ্যবসায় মিশে আছে এই সাজানো নগরীর হয়ে ওঠার পিছনে। স্বপ্ন তো অনেকেরই থাকে। দেখেনও হয়তো অনেকে। তবে তা বাস্তবায়িত করা কম কথা নয়। অনেক পরিশ্রম-পরিকল্পনা মিশে থাকে ইট-কাঠ কংক্রিটে। আর সাজানো বাড়ির অন্তরালে থেকে যায় স্বপ্ন সত্যি হওয়ার নেপথ্যের গল্পগাছা।

শুধু উচ্চমানের জীবনযাত্রাই নয়, সাধারণ মানুষের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নকে সত্যি করতে কোনও রকম ফাঁক রাখেনি শ্রাচী। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, সমস্ত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার চাবিকাঠি রয়েছে এখানে। নজরকাড়া বাংলো থেকে শুরু করে মন ভাল করা টুইন হাউজ। ছাপোষা অথচ বিলাসবহুল এক, দুই বা তিন কামরার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁ চকচকে স্মার্ট হোমস। ব্যবসাপ্রিয় মানুষের জন্য কমার্সিয়াল ও রেসিডেন্সিয়াল জমি। আবার মেঘেদের কাছাকাছি আকাশছোঁয়া উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ি। আধুনিক জীবন যাপনের জন্য সমস্ত কিছুর হদিশ দিচ্ছে রেনেসাঁ।