রাহুল-রোষানলে ‘দগ্ধ’ আদানিদের সঙ্গেই চুক্তি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর

0
3

দিনরাত শিল্পপতি গৌতম আদানিকে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিকে সেই রাহুলের দলের নেতা তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি মউ সাক্ষর করলেন আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার সঙ্গে। নিজ রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে গিয়ে এই মউ সাক্ষর করে এলেন রেবন্ত।

রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে রেবন্ত রেড্ডির উদ্যোগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এবং তেলঙ্গানা সরকার যৌথ ভাবে কিছু প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েছে। যার বেশির ভাগটাই তথ্যপ্রযুক্তি ও শক্তি সংক্রান্ত। সেই সব প্রকল্পেই ১২৪০০ কোটি টাকার ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্বয়ং গৌতম আদানিও। রেবন্তের সঙ্গে আদানির ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে খোঁচা দিতে নেমেছে গেরুয়া শিবিরের আইটি সেল। আদানিদের বিভিন্ন সংস্থা এই প্রকল্পে যুক্ত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘গ্রিন এনার্জি’র মাধ্যমে জল সরবরাহের প্রকল্পও। তা ছাড়া ড্রোন ও মিসাইল প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বড় বিনিয়োগ করবে আদানিরা। আদানি গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছে, হায়দ্রাবাদ এই মুহূর্তে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের এলাকা হিসেবে দেশের মধ্যে অন্যতম সম্ভাবনাময়। সেই কথা মাথায় রেখেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও তেলঙ্গানা সরকারের যৌথ প্রকল্পে শামিল হচ্ছে তারা।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আদানির সখ্যের অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাহুলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীতি হল হম দো, হমারে দো।’’ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের স্লোগান ধার করে রাহুল বোঝাতে চেয়েছিলেন, সরকার চালান দু’জন (মোদি-অমিত শাহ)। এবং তা দুজনের জন্য (আদানি-অম্বানী)। পাশাপাশি আদানির মধ্যে মোদির প্রাণ ভ্রমরা রয়েছে বলেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় রাহুলকে। এহেন পরিস্থিতির মাঝে আদানির সঙ্গে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মউ সাক্ষর স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রাহুল ‘রাজনৈতিক’ আক্রমণ করেছেন। আর রেবন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ‘প্রশাসনিক’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাঁর রাজ্যে আদানিদের বিনিয়োগ পেতে চেয়েছেন। ফলে এর সঙ্গে কংগ্রেসি রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজনীতি এবং প্রশাসন আলাদা।