প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে গিয়ে কার্যত মুখ পুড়ল নওশাদ সিদ্দিকির দলের। দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রাথমিক নির্দেশে সভার অনুমতি দিলেও আদালত সম্পূর্ণ নির্দেশ দেবে বৃহস্পতিবার।
২১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবসে ২০২৩ সালে শহরে অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করে আইএসএফ। ভাঙড়ে অনুষ্ঠান চলাকালীন অশান্তি ও কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিকালে রাণি রাসমণি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আইএসএফ কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। অবরোধের জেরে অফিস টাইমে লক্ষ লক্ষ মানুষ আটকে পড়েন। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে অবরোধ তোলার জন্য লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।
তারপরেই পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায় যখন পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন সেই প্রসঙ্গই টেনে আনে পুলিশ। গতবারের উদাহরণ টেনেই ভিক্টোরিয়া হাউস ছাড়া অন্যত্র সভা করার অনুরোধ জানানো হয়। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করার দ্বায়িত্ব রাজনৈতিক দলেরই। তৃণমূল বা অন্য দল সভা করলে গণ্ডগোলের অভিযোগ ওঠে না। উস্কানি থেকে কর্মীদের আটকানোর কাজ রাজনৈতিক দলেরই, পর্যবেক্ষণ আদালতের।
এরপরই আইএসএফ-কে নিজের কর্মীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার নির্দেশ দেন বিচারক। সেই সঙ্গে কীভাবে বিধিনিষেধ আরোপ তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে সমর্থক কমিয়ে সভার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। ওইদিনই শুনানির চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে।