রামমন্দিরের উদ্বোধন যে পুরোটাই বিজেপির নির্বাচনের প্রচারের সিঁড়ি তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যে মুখ্যমন্ত্রীকে অযোধ্যামুখী বা অযোধ্যা সংযোগকারী কোনও ফ্লাইটের প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি, তাঁকেই হঠাৎ দেখা গেল কলকাতাগামী প্রথম বিমান রওনা দেওয়ার আগে। বাংলার লোকসভা আসনগুলো যে বিজেপির কাছে কত বড় দায়, এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।
বুধবার শুরু হল অযোধ্যা-কলকাতা বিমান চলাচল। প্রথম বিমান অযোধ্যা থেকে কলকাতা এসে পৌঁছালো দুপুরে। এখন থেকে সপ্তাহে তিনদিন দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে অযোধ্যা। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে বিভিন্ন শহরের সঙ্গে আযোধ্যাকে জোড়ার কাজ করছে বিজেপি সরকার। অন্যদিকে রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে বাংলায় তেমন বাড়বাড়ন্ত আগ্রহ নেই। বিজেপি বিরোধী রাজ্যের সব দলই রামমন্দির উদ্বোধনকে রাজনৈতিক ফায়দার জায়গা বলে চিহ্নিত করেছেন।
এমনিতেই রামমন্দিরের পালে তেমন হাওয়া লাগেনি। তারওপর লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একেবারেই ব্যাকফুটে বিজেপি। বছরের শুরুতে রামমন্দিরের হাওয়া না তুলতে পারলে রাজ্যে তাঁদের অবস্থান এরপরে আর টেনে তোলা খুব একটা সহজ হবে না, এটা বুঝতে পেরেই এবার মঞ্চে যোগি আদিত্যনাথ। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও বাংলায় ভোট প্রচারের কাজ করেছেন তিনি। এবার বিমান সংযোগ উদ্বোধনে তাঁকে দেখা গেল প্রথম বোর্ডিং পাসটি যাত্রীর হাতে তুলে দিতে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা, যেখানে কোনও বিমানবন্দরের সঙ্গে সংযোগের সময় একটি ঘটনায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি, সেখানে কলকাতা বিমান উদ্বোধনের সময় যোগী আদিত্যনাথ কেন।