সন্দেশখালির মামলায় সোমবারই আদালতে আইনজীবী মারফত যুক্ত হওয়ার আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল করলেন তিনি।মঙ্গলবার আদালতে তাঁর আইনজীবী জানালেন, মামলায় পার্টি হতে চান না শেখ শাহজাহান।
সোমবার হাই কোর্টে তাঁর আইনজীবী বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁরা ECIR দেখেননি, তাঁদের বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়া হোক। আর তার ঠিক একদিন পরেই ওই আইনজীবী জানালেন, ‘যদি আদালত মনে করে যে এই মামলায় তাঁর উপস্থিতির প্রয়োজন আছে তাহলেই আবেদন করবেন শেখ শাহজাহান’।ঘটনার পরক থেকে তার হদিশ নেই। অথচ, হামলাকাণ্ডের ১০ দিন পর, অন্তরালে থেকেই মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। আর তারপর অবস্থান বদলও করে ফেললেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালতও।এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানতে চান, ন্যাজাট থানার তদন্তে এত ধীর গতি কেন? হামলার দিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার হয়েছে।ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এবং ধীরাজ ত্রিবেদী সন্দেশখালির ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন।সেই মামলাতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাহজাহানের আইনজীবী।রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি তত্ত্বাবধান দল গঠন করা হয়েছে। তদন্তে নজরদারির জন্য ওই দলে রয়েছেন এসডিপিও, ডিএসপি এবং সার্কুলার ইন্সপেক্টর।