ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই চলছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান! গঙ্গাসাগরে জনসমুদ্র

0
2

সোমবার মধ্যরাত থেকেই গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) শুরু হয়েছে মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) পুণ্যস্নান। তবে সোমবার সংক্রান্তির দিনেই কাটল তাল। এদিন ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার (Fog) জেরে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। কুয়াশার চাদরে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মুখ ঢেকেছে গঙ্গাসাগরও (Gangasagar)। এদিন সকালে খারাপ দৃশ্যমানতার জেরে কুয়াশার জেরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের সবরকম যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ বাস, ভেসেল ও লঞ্চ পরিষেবা। মুড়িগঙ্গা নদীতে ভোর থেকেই বন্ধ ভেসেল। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার জেরে নামখানা পয়েন্টে বন্ধ করে দেওয়া হয় লঞ্চ পরিষেবাও। এছাড়া সাগরমেলা থেকে কচুবেড়িয়ার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস পরিষেবা। পরে কুয়াশা কাটলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবে এদিন সকাল থেকেই পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ায় মেলামাঠ, কচুবেড়িয়া ও কাকদ্বীপের লট নং আটে পুণ্যার্থীদের ঠাসা ভিড় চোখে পড়ে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনোরকম সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর প্রশাসনের।

গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ সকাল ৯টা ১৩। যদিও কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই রবিবার মাঝরাত থেকে শুরু হয়েছে স্নান। চলবে আজ রাত ১২টা ১৩ পর্যন্ত। সাগরে স্নানের পাশাপাশি, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। আকাশপথে ও জলপথে চলছে কড়া নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন ওড়ানোর পাশাপাশি, স্পিড বোট ও হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনা।

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবছরও গঙ্গাসাগরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসছেন। মেলামাঠ, কচুবেড়িয়া ও কাকদ্বীপের লট এইট ভিড়ে ঠাসা। সোমবার দিনভর পুণ্যার্থীদের যাওয়া আসা চলবে। অন্যদিকে, ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবাও। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে একাধিক বিমান। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪১টি উড়ান বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে পারেনি কোনও বিমান। হাতে গোনা কয়েকটি বিমান উড়েছে। পরে বেলা বাড়তে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।