রেশন বন্টন মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যর একাধিক অফিসে তল্লাশি চালালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বেনিয়মে রেশন বিক্রি করে যে টাকা উপার্যন হয়েছে তা কোন কোন খাতে সরানো হয়েছে, তারই তদন্তে তল্লাশি। মামলায় গ্রেফতার বনগাঁ প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমেই এই টাকা বিদেশে পাচার বলে দাবি ইডি-র। সেই সূত্রেই এই অফিসগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়।
রেশন সংক্রান্ত বেনিয়মে শঙ্কর আঢ্যর যে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থাগুলি রয়েছে সেগুলির সাহায্যেই কালো টাকা সাদা করার দাবি ইডি-র। সেই সূত্রেই ধর্মতলা এলাকার মারকুইস স্ট্রিটের ‘আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের অফিসে যান ইডির আধিকারিকরা। পাশাপাশি কলিন স্ট্রিট, তালতলা এলাকায় এই সংস্থারই শাখায় তল্লাশি চালানো হয়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি শঙ্কর আঢ্যর এই সংস্থাগুলিতে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন সঠিক নিয়ম মেনে হত না। এবার সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালিয়ে সেই সংক্রান্ত নথি জোগাড় করার চেষ্টায় আধিকারিকরা। সেই সূত্রে সোমবার তল্লাশি চালানো হয় শঙ্কর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের অফিসে। সেখানে লেনদেন সংক্রান্ত নথি সংগ্রহের কাজ চালানো হয়।
একদিকে ফরেন এক্সচেঞ্জ সংস্থার মাধ্যমে সীমান্তে বেআইনিভাবে টাকা পাচার, ও অন্যদিকে নিয়ম বহির্ভূত বিদেশি মুদ্রা বিনিময়, এই দুই অভিযোগে সপ্তাহের প্রথম দিন দিনভর নথি সংগ্রহের কাজ চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তা আদৌ রেশন বন্টনে যে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কী না, তার উত্তর স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়াতেই প্রকাশিত হওয়া সম্ভব।