নাটক করে পথে ৫০০ দিন ‘উদযাপন’, রাজ্যের সহযোগিতা অস্বীকার আন্দোলনকারীদের

0
1

নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন পথে আন্দোলনে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার তাঁদের আন্দোলনের ৫০০ দিন পূর্ণ হল। আর সেই দিনই মুখে কালি মাখলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাস্তায় গড়াগড়ি দেওয়ার পাশাপাশি চামড়ার বেল্ট দিয়ে নিজেদের আঘাত করতেও দেখা যায় তাঁদের। তবে রাজ্য সরকার যে আদালতে তাঁদের চাকরির ন্যায্য যে অধিকার, তা পাইয়ে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, সেকথা স্বীকার করতে দেখা যায়নি আন্দোলনকারীদের। পাশাপাশি মুষ্টিমেয় মিডিয়ার নজর কাড়তে পথে গড়াগড়ি দিতে দেখা যায় তাঁদের।

বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতার রাস্তায় বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি আন্দোলনে। সরকারের সঙ্গে আদালতে লড়াইও চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীরাই এত সংখ্যক মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে, যার কারণে অনেকক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে গিয়েও থমকে গিয়েছে। সম্প্রতি SLST (নবম থেকে দ্বাদশ) চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যে দিয়ে সেই জট খোলার প্রক্রিয়া ফেব্রুয়ারির শুরুতেই হওয়ার কথা।

সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য় আদালতেও সচেষ্ট রাজ্য সরকার। পাশাপাশি পথে নেমে আন্দোলনে থাকা চাকরিপ্রার্থীদেরও এই রাজ্যে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের দিক থেকে সহযোগিতা যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়নি রবিবার তারই প্রমাণ মিলল। দাবি আদায়ে সঠিক পথ যদি আদালতে দ্বারস্থ হওয়া হয় তাহলে আন্দোলনের ৫০০ দিন ‘উদযাপন’ করতে মুখে কালি মাখা বা গায়ে বেল্ট চালানো কতটা যুক্তিসঙ্গত, উঠছে প্রশ্ন।

অন্যদিকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে উপস্থিত হন রবিবার। যে ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে বরাবর বিরোধীরা নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করেছে। বারবার এভাবেই চাকরিপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে সিপিআইএম, বিজেপি, কংগ্রেসের তরফ থেকে। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা যতবার তাঁদের মঞ্চে গিয়েছেন ততবার সমস্যার সমাধানে  এগোনো সম্ভব হয়েছে।