‘ধর্ষকদের ভাড়া করে আইটি সেল চালাচ্ছে বিজেপির অমিত মালব্য! গদ্দাররা চুপ কেন? প্রশ্ন তৃণমূলের

0
6

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর মুখোশ খুলে দিতে লোকসভা ভোটের আগেই কোমর বেঁধে মাঠে নামছে তৃণমূল। বাংলার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে বিজেপির মুখ আর মুখোশের পার্থক্য বোঝাবে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার অভিযোগ, “বিলকিস বানোর ধর্ষকদের সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জয়ের তিলক পরানো হয়েছিল। ফুলের মালা পরানো হয়েছিল। আদালতের নির্দেশেই ফের জেলে ঢুকেছে ধর্ষকরা। আসলে বিজেপি মেয়েদের প্রতিবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে। সেকথাটাই আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব। এজন্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা ডোর টু ডোর প্রচারে যাবেন।”

শুধু বিলকিস বানো নয়, সম্প্রতি আইআইটি-বিএইচইউ (বারাণসী) ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক ছাত্রী। গত ৫ নভেম্বর অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইআইটির পড়ুয়ারা। ঘটনার প্রতিবাদে পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামে। শশী পাঁজার অভিযোগ, “নারী ও ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। অপরাধীরা যখন বিজেপির নিজেদেরই লোক হয়, তখন অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করা হয়। অমিত মালব্যর অধীনে বিজেপি আইটি সেলের তিনজন সদস্যরা আইআইটি বিএইচইউ গণধর্ষণ মামলার সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এখন নীরব কেন? এখন কেন তিনি টুইট করছেন না? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে?”

তাঁর সংযোজন “আইটি সেল চালানোর জন্য ধর্ষকদের ভাড়া করেছেন অমিত। উত্তরপ্রদেশের ঘটনা তাই প্রমাণ করে। বাংলায় এই জিনিস চলবে না। এবিষয়ে বাংলার বিজেপি নীরব কেন? তাঁকে কি সমর্থন জানান সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা? তা না হলে তো অমিত মালব্যকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা।” এ ব্যাপারে বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

রাজ্যের আরেক মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, অমিত মালব্য বিজেপি আইটি সেলের প্রধান ও বাংলার কো-ইনচার্জ। তিনি ধর্ষকদের ভাড়া করেছে আইটি সেল চালানোর জন্য। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কিন্তু বাংলায় এসব চলবে না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তথা সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যাচারিত মহিলাদের জন্য চিরকাল লড়াই করে আসছেন। বিজেপি লড়াই করেনি, বরং ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। অমিত মালব্য কেন এই বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। তাঁকে কি সমর্থন করেন সুকান্ত মজুমদার, গদ্দার অধিকারীরা? কেন তাঁরাও কোনও কথা বলছেন না। সবাই মিলে ধর্ষকদের সমর্থন জানায়, না হলে এতদিনে অমিত মালব্যর বিজেপি থেকে বহিষ্কার হওয়ার কথা। অমিত মালব্য বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের কৈফিয়ত চেয়ে বেড়ান, কিন্তু এই ইস্যুতে তিনি নীরব। বিলকিস বানোর ধর্ষকদের সমর্থন করেছিল বিজেপি। সেই ধর্ষকদের আবার জেলে ঢুকতে হচ্ছে। এরা যে আসলে মহিলাদের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন, তা স্পষ্ট।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, গুজরাতের বিলকিস বানোর ঘটনায় নীরব অমিত মালব্য, সুকান্ত মজুমদার, গদ্দার অধিকারী নীরব। গণধর্ষণ, খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জন্য দরজা খুলে দিল। ১১ জন ধর্ষককে ফুল-বেলপাতা দিয়ে সংবর্ধনা দিল। সুপ্রিম কোর্ট আবার তাদের জেলে ঢোকানোর নির্দেশ দেয়। সেই ১১ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এতবড় ঘটনা নিয়ে বিজেপি নীরব। এখানেই শেষ নয়, অমিত মালব্য বিজেপির আইটি সেলে ধর্ষণে অভিযুক্তদের নিযুক্ত করছে। এরা মহিলাদের অসম্মান, নির্যাতন, ধর্ষণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।