ইয়ুথ লিগে অনুর্ধ্ব-১৭-এর ডার্বিতে বয়স ভাঁড়িয়ে খেলার অভিযোগে বড় শাস্তির মুখে পরল ইস্টবেঙ্গল। অনুর্ধ্ব-১৭ ডার্বি ম্যাচে বয়স ভাঁড়ানো হয়েছে বলে ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও দিয়েছিল তারা। সেই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে এবার ব্যবস্থা নিল এআইএফএফ। জানা যাচ্ছে, ভুল ফুটবলার খেলানোর জন্য ৬০ হাজার টাকা জরিমানা সহ শাস্তিস্বরূপ ইস্টবেঙ্গলের কেটে নেওয়া হয়েছে তিন পয়েন্ট।

লাল হলুদ ক্লাবের বিরুদ্ধে শুধু বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ ছিল না, তাদের বিরুদ্ধে ছিল নাম ভাঁড়ানোরও অভিযোগ। আর সেই কারণেই শাস্তির মুখে পড়ল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তবে শুধু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নয়, তাদের দলের অনুর্ধ্ব-১৭-র এক ফুটবলারকে ৪ বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠাল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। একই সঙ্গে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও। এবারের অনুর্ধ্ব-১৭ লিগের ডার্বি ম্যাচের পরেই এআইএফএফ-এর কাছে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নাম এবং বয়স ভাঁড়ানোরও অভিযোগ আনে মোহনবাগান। কারণ অনুর্ধ্ব-১৭ ডার্বিতে টিম লিস্টে এক ফুটবলারের নাম দেখে চমকে যান মোহনবাগান কর্তারা। কারণ, ৬ বছর আগে মোহনবাগানের অনুর্ধ্ব-১৩ দলের হয়ে খেলেছিলেন সেই ফুটবলার। তাহলে ৬ বছর পর তিনি অনুর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেন কী করে? এখানেই শেষ নয়। ওই ফুটবলারটি যখন মোহনবাগানে খেলেছিলেন, তখন তাঁর নাম ছিল আরেক। একে তো বয়স বেশি। তার উপর নাম বদল!এরপরই লাল-হলুদের ফুটবলারের বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানায় মোহনবাগান। ডার্বিতে না খেললেও ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন সেই ফুটবলার। সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলারটির সম্পর্কে যাবতীয় নথি সহ নানা তথ্য ফেডারেশনের কাছে জমা দিয়ে অভিযোগ জানায় মোহনবাগান। অনুর্ধ্ব ১৭-এর ডার্বিতে, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে না খেললে ফুটবলারটি বেঞ্চে ছিলেন। এছাড়াও লিগের প্রথম ম্যাচে মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন।আর তাতেই ক্লাব ও ফুটবলারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ফেডারেশনের তদন্তে মোহনবাগানের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়ে যায়। প্রমাণিত হয় যে নিজের বয়স এবং নাম দুটোই ভাঁড়িয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের ওই ফুটবলার।
আরও পড়ুন- এএফসি এশিয়ান কাপের আগে টিম ইন্ডিয়াকে বিশেষ বার্তা নীরজের





































































































































