আমূলের মিষ্টি দইয়ে ফুড পয়জেনিং! অবাঙালি সংস্থাকে ব্যান করার দাবি বাংলা পক্ষের

0
1

বাংলার বুকে নিষিদ্ধ করা হোক আমূলের সমস্ত দ্রব্য। এমনই দাবি করেছে বাঙালির স্বার্থে লড়াই করা অরাজনৈতিক সংগঠন নবাংলা পক্ষ। জানা গিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের আমূল মিষ্টি দই খেয়ে পূর্ব বর্ধমানের দুটি ব্লকে শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তারপরই ইস্যুটি নিয়ে মাঠে নামে বাংলা পক্ষ। আপাতত সেখানে ওই ব্যাচের আমূলের মিষ্টি দই বিক্রি করা হচ্ছে না।

বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় আমূলের সামগ্রী বয়কটের ডাক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সংবাদমাধ্যম খবর করেছে যে কতটা পচা এবং অস্বাস্থ্যকর মানের জিনিস প্যাকেজজাত করা হয়েছে যে অসংখ্য মানুষ তৎক্ষণাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। আমূলের ক্ষতিকারক সামগ্রীর বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।’

একইসুরে পশ্চিমবঙ্গে আমূলের সমস্ত সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি তুলেছেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি। তিনি বলেন, ‘আমূলের মিষ্টি দই খেয়ে বিভিন্ন জেলায় প্রচুর বাঙালি অসুস্থ। আমূলকে বাংলার মাটিতে চিরতরে ব্যান করতে হবে।’

সূত্রের খবর, সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২ ব্লক এবং মেমারির ব্লকে আচমকা প্রায় ১৫০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যেকের একই উপসর্গ ছিল। পেটব্যথার সঙ্গে বমি হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে অনেককে হাসপাতালেও ভরতি করা হয়।

একইসঙ্গে দুটি ব্লকের এত সংখ্যক মানুষ কেন একইসঙ্গে পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে জেলা প্রশাসন। পাঠানো হয় বিশেষ মেডিক্যাল দল। পরবর্তীতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের দুটি ব্লক থেকে ‘ফুড পয়জেনিং’ বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়। দুটি ক্ষেত্রে ‘কমন ফ্যাক্টর’ হিসেবে ‘কেপিভি৩৬৫৩’ ব্যাচের আমূল মিষ্টি দইয়ের যোগসূত্র পাওয়া যায়। যা তৈরি করেছে বাঁকুড়ার ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্টস লিমিটেড।

তারপরই তড়িঘড়ি মিষ্টি দইয়ের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে একটি ব্যাকটেরিয়ায় সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে ‘কেপিভি৩৬৫৩’ ব্যাচের আমূল মিষ্টি দই বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কোথাও যদি ওই ব্যাচের আমূল মিষ্টি দই বিক্রি করা হয়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে অবাঙালি সংস্থা অমূলের সমস্ত প্রোডাক্টের উপর নিষেধাজ্ঞার জারির দাবি তুলেছে।