মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ ১৬ বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল উদ্ধব ঠাকরে শিবির। তবে সে আবেদন বুধবার খারিজ করে দিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকর। সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের যে আর্জি জানানো হয়েছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।’ এদিন অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময়ে বিধানসভার সেন্ট্রাল হলে হাজির ছিলেন শিবসেনার দুই যুযুধান গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।
২০২২ সালের জুন মাসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছেড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে-সহ শিবসেনার বিধায়কদের একাংশ। পরে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা শিন্ডে। তার আগেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে দলের বিক্ষুব্ধ ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। যদিও শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে টালবাহানা করেছিলেন অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকর।
এরপর বিষয়টি গড়ায় শীর্ষ আদালতে। বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে টালবাহানা করায় মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষকে তুলোধনা করেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার দিনেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ। নিজের রায় ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আসল লড়াই হচ্ছে, কোন গোষ্ঠী আসল শিবসেনা। নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসাবে আমার ক্ষমতারও একটা সীমা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া ২০১৮ সালে শিবসেনার যে গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়েছিল, তা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনার পরিষদীয় দলের নেতার পদ থেকে হঠানোর অধিকার নেই উদ্ধব ঠাকরের।’