হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে টেলি মেডিসিনের (Tele Medicine) সুবিধা পৌঁছে দিতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আদর্শ চিকিৎসা বিধি সম্বলিত ‘এসওপি’ (SOP)তৈরি করেছে। এই নতুন বিধি সব সরকারি হাসপাতাল এবং জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হয়। সেটা কাটাতেই ব্লক স্তরের হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসায় টেলি-কার্ডিয়োলজি পরিষেবা (Tele-cardiology services)চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে হার্ট অ্যাটাক আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী এক ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্লক, মহকুমা বা জেলাস্তরের হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসতেই অনেকটা সময় কেটে যায়। এতে অনেক বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। তাই সেই অবস্থা এড়াতে বিশেষ উদ্যোগ এই টেলি মেডিসিন পরিষেবা।
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের-তে বিশদে জানানো হয়েছে, বুকে ব্যথা নিয়ে কোনও রোগী এলে প্রথমেই তাঁর ইসিজি ও ট্রোপোনিন-টি পরীক্ষার পাশাপাশি বুকের এক্স রে করতে হবে। তার পরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে নির্ধারিত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রোগীর যদি আগে কখনও ব্রেন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে কিংবা রোগী যদি কোনও কারণে রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তা হলে কোন ডোজ়ে, কোন ওষুধ প্রথমে দিতে হবে, তা-ও এসওপি-তে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ওই চিকিৎসা শুরুর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালটি যে মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে বিশদে জানাতে হবে। যাতে সেখান থেকে টেলি-মেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারেন। এই নতুন ব্যবস্থায় রাজ্যের আটটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পৌঁছে যাবে জেলার ছোট মাপের হাসপাতালগুলিতে। কিন্তু সেই পরামর্শ পাওয়ার আগে ওই হাসপাতালে আসা, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা শুরু হতে যাতে কোনও রকম দেরি না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা স্বাস্থ্য দফতরের। এমনিতেই শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সেই জন্য চিকিৎসার প্রাথমিক প্রস্তুতিতে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সে দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জেলার হাসপাতালেই প্রথমে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া হবে। তার পরে তা দেখে বিশেষজ্ঞেরা পরবর্তী পরামর্শ দেবেন।