সুপার কাপে জয় দিয়ে অভিযান শুরু মোহনবাগানের

0
1

ইস্টবেঙ্গলের পর মোহনবাগান। সুপার কাপে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করলো মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এদিন বাগানের প্রতিপক্ষ ছিলো শ্রীনিধি ডেকান। শ্রীনিধি ডেকানকে ২-১ গোলে। বাগানের হওয়ে গোল দুটি করেন ক্যামিন্স এবং সাদিকু।

দলের নিয়মিত সাত ফুটবলার নেই। দলের সঙ্গে নেই হেড কোচ। আইএসএল-এর প্রথম পর্বে শেষ তিন ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাসেও কিছুটা চিড় ধরেছিল। এমন অবস্থায় সুপার কাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বেশ সমস্যায় পড়তে হল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। তবে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে, সময় যত গড়িয়েছে ততই ঝাঁজ বাড়িয়েছে সবুজ-মেরুন। আর তার জেরেই ২-১ গোলে ম্যাচ জিতল ক্লিফোর্ড মিরান্ডার ছেলেরা।

ম্যাচের ২৮ মিনিটেই যদিও পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে সুমিত রাঠির ট্যাকেল বিধিসম্মত না হওয়ায় পেনাল্টি পেয়ে যায় শ্রীনিধি। সেখান থেকে গোলরক্ষক আর্শ আনোয়ারকে উল্টোদিকে ফেলে গোল করে যান উইলিয়াম আলভেজ। গোলটা খাওয়ার পরেই তৎপরতা বাড়ায় সবুজ-মেরুন। এর মধ্যেই মাথা গরম করে কার্ড দেখে বসেন আর্মান্দো সাদিকু। ৩৬ মিনিটে শ্রীনিধি গোলরক্ষক আলবিনোকে এগিয়ে আসতে দেখে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট করেন অভিষেক রাজবংশি। সেই শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসতেই শিকারির মতো গোল করে যান জেসন ক্যামিন্স। ছোট্ট পুশে সমতা ফেরান অজি বিশ্বকাপার।প্রথমার্ধ ১-১ গোলেই শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে শ্রীনিধিকে প্রায় ডিফেন্সেই আটকে রাখে মোহনবাগান। কিয়ান নাসিরি বাঁ দিকের উইং বরাবর খেলতে থাকায় সমস্যা বাড়ে শ্রীনিধির। ৭১ মিনিটে আশিস রাইয়ের ডানদিক থেকে আসা সেন্টারে শট করে গোল করেন সাদিকু। তবে গোল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সাদিকু অফসাইডে ছিলেন কিনা সেটা নিয়েই প্রশ্ন। তবে এই গোলের বল এসেছিল হুগো বৌমোসের পা থেকেই। কামিন্স গোল করতে পারতেন আরও একবার। তবে আলবিনো বাঁচিয়ে দেন। আশিস রাইয়ের ডানদিক থেকে উঠে বারবার সমস্যায় ফেলে ডেকান ডিফেন্সকে।

শেষ পাঁচ মিনিট মোহনবাগানকে ১০ জনে খেলতে হয়। লাল কার্ড দেখেন অভিষেক সূর্যবংশী। কামিন্সকে তুলে শিবাজিৎকে নামান ক্লিফোর্ড। বাকি সময়টা শ্রীনিধি মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, জিততে সমস্যা হয়নি মোহনবাগানের।

আরও পড়ুন- কীভাবে বন্ধুদের কাছ থেকে প্রতারিত হলেন ধোনি? প্রকাশ্যে কারণ