কুম্ভকে দেয়, গঙ্গাসাগরে এক টাকাও ঠেকায় না কেন্দ্র, তাও কর মকুব: মুখ্যমন্ত্রী

0
1

কেন্দ্র কোনও সাহায্য করে না, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই প্রতি বছর গঙ্গাসাগরের মেলাকে সফলতা দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। তীর্থযাত্রীদের জন্য কর মকুব থেকে শুরু করে মেলার জন্য পরিকাঠামো গড়েছে রাজ্য। এবারও গঙ্গাসাগরের ব্যবস্থাপণা নিজে ঘুরে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আউট্রাম ঘাটের ট্রানজিট পয়েন্টে এক অনুষ্ঠান ঢেজে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ তপসিলি, কেউ উচ্চবর্ণ, কেউবা নিম্নবর্গ হতে পারে। কিন্তু আমরা কখনও এনিয়ে কোনও বিভাজনের রাজনীতি করিনি। আমরা সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই। আমরা বলি ধর্ম যার যার। সবাই তা পালন করুন। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মেলা বা উত্সব সবার। দুর্গাপুজো যখন হয় তখন বাইরের বহু মানুষ, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ তা দেখতে আসেন। এতবড় উৎসব হয় যে ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের মর্যাদা দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, গঙ্গাসাগর মেলার ব্যাপারে ৪-৫ দফা কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। অনেককিছু চেয়েছেন। আবেদন করেছেন, কুম্ভকে কেন্দ্র জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে, ওই মেলার পরিকাঠামো তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য করেছে। কিন্তু গঙ্গাসাগর এমন একটি মেলা যেখানে একটা টাকাও কেন্দ্র না।

বাম জমানায় গঙ্গাসাগর মেলায় কর নেওয়া হতো। কিন্তু তৃণমূল সরকারে আসার পর সেই কর মকুব করে দেওয়া হয়েছে। এবার ৯ থেকে ১৬ জানুয়ারি যাঁরা গঙ্গাসগরে যাবেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য ৫ লাখ টাকা বিমা করিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার।

এছাড়াও এবার গঙ্গাসাগরের জন্য বেশকিছু ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সেইসব ব্যবস্থার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লাইট দিয়ে গোটা এলাকা সাজিনো হয়েছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ৮ কোটি টাকা। মুড়িগঙ্গা পার করে মেলায় যেতে হয়। যখন ভাটা চলে তখন জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয়। সবাইকে অনুরোধ বাফার জোনে এসে অপেক্ষা করুন। জোয়ার এলে পুলিশ এসে আপনাদের পার করে দেবে। জলপথ ড্রেজিংও করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।২১টি জেটি তৈরি করা হয়েছে। ২০০৫টি বাস, ৬টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ, লাইফ জ্যাকেটও দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভেসেলে জিপিএস আছে। কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য একটি মাত্র টিকিট, অর্থাৎ যাঁরা বাসে গিয়ে বাসে ফিরবেন তাঁরা একবার ভাড়া দেবেন।

আরও পড়ুন- তৃণমূলের বিরাট জয়: বিলকিস গণধর্ষণ-কাণ্ডে সুপ্রিম রায় নিয়ে মন্তব্য মমতার

এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স কর্মী, ডাক্তার, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গাসাগরকে ইকো ফ্রেন্ডলি মেলায় পরিণত করাই লক্ষ্য। গঙ্গাসাগরে তিন দিন আরতি হবে। ১২, ১৩, ১৪ তারিখ আরতি দেখার সুযোগ পাবেন তীর্থযাত্রীরা।