মধ্যরাতে কলকাতায় এলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিক রাহুল নবীন (Rahul Nabin)। আজই শহরের ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সূত্রের খবর সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident)ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দেবেন রাহুল। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার (Rajib Kumar) সন্দেশখালির প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, অপরাধীদের রেয়াত নয়। যাঁরা যাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠিনতম পদক্ষেপ করা হবে।
১৯৯৩ ব্যাচের আইআরএস রাহুল নবীন গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইডি-র বিশেষ অধিকর্তা পদে রয়েছেন । তার আগে তিনি ইডি-র সদর দফতরে প্রধান ভিজিল্যান্স অফিসার ছিলেন। সন্দেশখালির ঘটনায় ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসারদের নিরাপত্তা এবং যে কোনও মামলায় ‘অভিযুক্ত’ ব্যক্তিদের বাড়িতে হানা দেওয়ার সময় ঠিক কতটা সতর্ক থাকা দরকার এই সংক্রান্ত আলোচনা হবে আজ। গত শুক্রবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রেশন মামলার তদন্তে শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ ইডি আধিকারিকের একটি দল। তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁকে ডাকাডাকি করেন ইডি আধিকারিকরা। ভিতর থেকে সাড়াশব্দ না মেলায় দরজা ভাঙার চেষ্টা হয়। ঠিক সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও, ভাঙচুর চলে গাড়িতে। সেই সময়েই তিন ইডি আধিকারিক জখম হন। এর পর ইডি আধিকারিকরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন।বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে একই মামলায় তল্লাশি চালানোর সময়ও আক্রান্ত হয় ইডি। দু’টি ঘটনাতেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডির বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য পুলিশও।